লা লিগায় টানা ৪২টি ম্যাচ অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। শনিবার জিতলে বা ড্র করলে বার্সেলোনার ৪৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলতে পারত তারা। কিন্তু বার্সেলোনার বিরুদ্ধেই ৪ গোলে হারতে হল মাদ্রিদকে। শুধু এল ক্লাসিকোয় হার নয়, রেকর্ডও হাতছাড়া হল তাদের। ধুন্ধুমার এল ক্লাসিকোয় রিয়াল মাদ্রিদকে বিধ্বস্ত করল বার্সেলোনা। এক বছরেরও বেশি সময় পরে লা লিগায় ফের হারের মুখ দেখল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। স্প্যানিশ লিগের চলতি মরশুমে এটি প্রথম হার টুর্নামেন্টের সব থেকে সফল দলের। তাও আবার নিজেদের ডেরায়। রিয়ালকে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল বার্সেলোনা।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী শনিবার গভীর রাতে স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে এল ক্লাসিকোর লড়াইয়ে নামে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেসোনা। ঘরের মাঠে শেষমেশ ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয় রিয়ালকে। যদিও ম্যাচের প্রথমার্ধে লড়াই চলে তুল্যমূল্য। প্রথমার্ধে কোনও দলই প্রতিপক্ষের গোলমুখ খুলতে পারেনি। ফলে বিরতিতে ম্যাচ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালকে কার্যত দাঁড়াতেই দেয়নি বার্সা। তারা ৪টি গোল করে ম্যাচের শেষ ৪৫ মিনিটে।
জোড়া গোল করে বার্সেলোনার জয়ের নায়ক হয়ে দেখা দেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি। তিন মিনিটের মধ্যে তিনি দু'বার রিয়াল মাদ্রিদের শেষ রক্ষণ ভেদ করেন। লেওয়ানডস্কি গোলমুখ খুলে ফেলার পরে রিয়ালের জালে বল জড়ান লামাইল ইয়ামাল ও রাফিনহা।
শনিবার রাতে ৩১ মিনিটের মাথায় জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের কিলিয়ান এমবাপে। ভেবেছিলেন এল ক্লাসিকোয় প্রথম গোলটি করে ফেলেছেন। উৎসবে মেতে উঠেছিলেন মাদ্রিদের সমর্থকেরা। কিন্তু সেই আনন্দ খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কারণ ভারের মাধ্যমে দেখা যায় এমবাপে অফসাইড ছিলেন। ফলে গোলটি বাতিল হয়। প্রথমার্ধ গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয়।
মাদ্রিদের কোচ অ্যান্সেলেত্তি আর দেরি করেননি লুকা মদ্রিচকে নামাতে। ম্যাচের ৫৪ মিনিটের মাথায় লেওয়ানডস্কির গোলে ম্যাচে ১-০ লিড নেয় বার্সেলোনা। ৫৬ মিনিটের মাথায় নিজের তথা দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন লেওয়ানডস্কি। ৭৭ মিনিটের মাথায় বার্সার হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন ইয়ামাল। ৮৪ মিনিটের মাথায় বার্সেলোনার হয়ে শেষ গোলটি করেন রাফিনহা এবং ম্যাচের চূড়ান্ত স্কোর-লাইন দাঁড়ায় বার্সেলোনার অনুকূলে ৪-০। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। রিয়ালের হয়ে কিলিয়ান এমবাপের এটিই ছিল প্রথম ক্লাসিকো, ৬৬ মিনিটে তাঁর আরও একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। ৭৭ মিনিটে তরুণ লামিনে ইয়ামাল গোল করেন। বার্সেলোনা ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। ৮৪ মিনিটে ব্যবধান বৃদ্ধি করেন রাফিনহা। মাদ্রিদের রক্ষণকে গতিতে পরাস্ত করেন তিনি। যদিও তত ক্ষণে মাদ্রিদ ম্যাচ জেতার হাল ছেড়ে দিয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল মাদ্রিদকে দাঁড়াতেই দেননি বার্সেলোনার ফুটবলারেরা। ৫৪ মিনিটে গোল করেন রবার্ট লেয়নডস্কি। মাদ্রিদের রক্ষণভাগের মাঝে ফাঁক তৈরি হয়েছিল। ২১ বছরের মার্ক কাসাডো সেই ফাঁকটা কাজে লাগিয়ে লেয়নডস্কিকে একটু থ্রু বাড়ান। ১৮ গজের মাথায় সেই বল ধরে গোল করতে ভুল করেননি অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার। দু’মিনিটের পর আবার গোল। আবার সেই লেয়নডস্কি। রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ তখন নিস্তব্ধ। আলেয়ান্দ্রো বালদের ক্রস আসে পেনাল্টি বক্স লক্ষ্য করে। হেডে গোল করেন লেয়নডস্কি। মাদ্রিদের গোলরক্ষক লুনিন সুযোগই পেলেন না আটকানোর।
এই জয়ের সুবাদে ১১ ম্যাচে ১০টি জয়-সহ ৩০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে বার্সেলোনা। তারা রয়েছে লিগ টেবিলের এক নম্বরে। রিয়াল মাদ্রিদ দ্বিতীয় স্থানেই থেকে যায়। ১১ ম্যাচে ৭টি জয়-সহ ২৪ পয়েন্ট রয়েছে রিয়ালের খাতায়। ছ
Leave Comments