প্রতিবেদনে - রাহুল সাহা : শীর্ষ টাইম ডেক্স: উচ্চমাধ্যমিকের সেমেস্টার টু-এর পরীক্ষাসূচিতে বদল আনল সংসদ! আগামী ২৩ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক। একইসঙ্গে চলবে সেমেস্টার টু-এর পরীক্ষাও। তবে কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষার সময়ে বদল আনল সংসদ।
ওনাদের বিয়ে হয় ১৪ ই জুলাই ১৯৬৫। বিয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে দুই সন্তান রবার্ট এবং লুসি জন্মান। প্রথম সমস্যা শুরু হয় যখন তাঁদের জীবনে এক তৃতীয় ব্যক্তির আগমন ঘটে। ব্যক্তির নাম জোনাথন হেলিয়ের জোনস। হকিং এর স্ত্রীর সাথে জোনাথনের রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হকিং সব জেনে বুঝেও বাধা দেননি...
শোনা যায় প্রফেসর বোস তাঁর আগাগোড়া জীবনে বেজায় পপুলার মানুষ ছিলেন। সারা ভারতজোড়া তাঁর ভক্তকুল ছিল, কলকাতার মানুষ এক ডাকে তাঁকে চিনতো! মনে খুব একটা আশা ছিল না যে এই বছর পঞ্চাশের অবাঙালি লোকটার থেকে কোনো সদুত্তর পাবো! প্রশ্নটি শুনে লোকটি আমার মুখের দিকে তাকালেন! এরপর হঠাৎই কোনো কথা না বলে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন এবং পরিষ্কার বাংলায় বললেন সত্যেন বোস মানে জাতীয় অধ্যাপক সত্যেন বোসের বাড়ি যেতে চাইছেন তো!
গ্রীক দেবতা জিউসের কথা সবারই জানা। গ্রিক পুরাণে তিনি ছিলেন আকাশ ও বজ্রের দেবতা। গ্রিকদের বিশ্বাসে তিনি দেবরাজ। কিন্তু জানলে অবাক হবেন জিউসের ছিল অসংখ্য প্রেয়সী। আসুন আজ আমরা জেনেনি......
পর্দায় টারজানকে দেখে এসেছি। কিন্তু ছোটো বেলায় টারজানকে সত্যি ভাবতাম আমরা। ভাবতাম হয়তো জঙ্গলে এমন একজন মানুষ সত্যিই আছেন , যে খালি গায়ে ডাক দিতে দিতে এ গাছ সে গাছ ঘুরে বেড়ায়। ছোটরা এখনও হয়তো তাই ভেবে থাকে.......
বর্তমানে যে পরিমাণে LGBTQ নিয়ে সরব হয়েছে গোটা দেশ, আপনারা শুনলে অবাক হবেন আমাদের মহাকাব্য মহাভারত থেকেই এই কনসেপ্টটা কিন্তু ছিল। LGBTQ হল একটি ছাতা যা ছক ভাঙ্গা মানুষদের জন্য। এই যেমন ধরুন কেউ পুরুষ হয়ে জন্মেছেন কিন্তু একজন নারীর মত......
রামায়ণের সুর্পনখার নাক কাটার গল্পটা তো সবারই জানা। যুদ্ধ বাঁধানোর অনত্যম কারণও কিন্তু তিনি, এমনটাই মনে করা হয়। সুর্পনখা বনবাসকালে রামকে দেখে দিয়ে বসল প্রেম প্রস্তাব। কিন্তু রাম সেই প্রস্তাব মেনে না নিলে, সুর্পনখা লক্ষণের কাছে যায়। কিন্তু লক্ষণও এই প্রস্তাবকে নাকচ করে। এরপর রাগে , অভিমানে সুর্পনখা রামের কাছে এসে সীতার নামে কটূক্তি করে এবং সীতাকে মারতে যায়। ঠিক সেই সময়.....
অভিনয় করতে শিক্ষাগত যোগ্যতা অতটা না লাগলেও অভিনয়ের দক্ষতা অবশ্যক। এটি গতানুগতিক কোন পেশা নয়। সফল অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাবার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। ধৈর্যের সাথে ভালো পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দর্শকের মন জয় করতে পারলে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব.......
বিষকন্যাদের রূপে যেই মোহিত হয়ে পড়তেন কোনও শত্রু রাজপুরুষ, তখনই শুরু হত রাজনীতির সেই নৃশংস খেলা। প্রথমেই বিষকন্যারা সেই পুরুষের খাদ্যে বা পানীয়তে মিশিয়ে দিতেন বিষ। সেই পুরুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য আগে নিজেও খেতেন তা
অপরদিকে,প্রথম পান্ডব যুধিষ্টিরের জন্ম হলো রানী কুন্তীর গর্ভে। তাই শুনে গান্ধারী গেলেন চটে। ভাবলেন ব্যাসদেব হয়ত তাঁকে ছলনায় ভুলিয়েছেন, আদৌ কোনও বর-টর দেন নি। অধৈর্য্য হয়ে তিনি নিজেই নিজের পেটের ভিতরে থাকা ভ্রুণ কেটে বাইরে ফেলে দিলেন!
ইনফরমেশন টেকনোলজি ক্ষেত্রে যাদের আগ্রহ তাঁরা ভারতে নতুন আসা এই বিষয়ের ব্যাপারে শুনে থাকবে। কিন্ত গ্লোবাল মার্কেটে বেশ কয়েক বছর ধরে রীতিমতো রাজত্ব করে চলেছে এই ডিজিটাল হিউম্যানিটি কোর্স।
মহালয়ার পরদিন থেকেই পড়ে যায় দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি। বাঙালিদের যেটাই প্রথমা থেকে নবমী সেটাই অবাঙালিদের নভরাত্রি। কিন্তু নাম আলাদা হলেও দেবী দুর্গার নয়টি রূপের পুজোই হয় উভ়য়ক্ষেত্রে। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে দুর্গাপ্রতিমার সাথে আমরা দেখতে পাই লক্ষ্মী , গণেশ,কার্তিক ও সরস্বতীকে। বাঙালির দুধে-ভাতে কল্পনায় তাঁরা নাকি আসেন মায়ের সাথে মামাবাড়ি ঘুরতে। এই রথী মহারথীদের পাশে আরেকজন আছেন যাকে আমরা লাল-সাদা কাপড়ে অবগুন্ঠিত,লজ্জাবনত দেখি, তিনি হলেন গণেশের বউ,কলাবউ.....
গ্র্যাভিটি হোল কোনও গর্ত নয়। এটি ৩০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত একটি এলাকা। যেখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সাধারণের তুলনায় খানিকটা কম.....
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফায়ার স্টেশনে থাকা এই বাল্বটি জ্বলছে ১২০ বছর ধরে। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে এটি সবচেয়ে পুরনো বাল্বের তকমা পেয়েছে। ১৯০১ সালে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার রিভার্মোরের একটি ফায়ার স্টেশনে এই বাল্বটি লাগানো হয়েছিল। কেবলমাত্র ১৯০৭ ও ১৯৩৭ সালে কিছু সময়ের জন্য বাল্বটি বন্ধ ছিল। এত দীর্ঘ সময় ধরে কিভাবে বাল্বটি জ্বলছে তার কোনও ব্যাখ্যা নেই বিজ্ঞানীদের কাছে। এই বাল্ব নিয়ে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধারণা তৈরি হয়েছে। যেমন কেউ কেউ একে ভুতুড়ে বাল্ব বলে থাকে...
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে আসা র্যাগিংয়ের ঘটনা ৩১ তাও আবার মাত্র তেরো বছরেই। কিন্তু অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া দূরের কথা সিংহভাগকেই ধরা যায়নি। এমনটাই দায়সারা মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। র্যাগিংয়ের মতো জঘন্যতম ঘটনাকে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে কিছুদিন আগেই অপমৃত্যু ঘটেছে এক ফুরফুরে স্বপ্নের...
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক জানিয়েছেন , প্রথমে ইংল্যান্ড ও পরে আমেরিকায় প্রদত্ত সময়ের সেরা ভূতের গল্প নির্বাচন করে তা নিয়ে চর্চা করা হবে । তারপর তা বাংলায় অনুবাদ করে বই প্রকাশ করা হবে......
পৃথিবীতে এমনও এক দেশ আছে যেখানে মানুষের থেকে বেশি সংখ্যায় ঘোড়া বসবাস করে। এখানে মাইলের পর মাইল হেঁটে গেলেও মানুষের দেখা মেলে না।মঙ্গোলিয়ায় প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র দু’জন করে বাস করেন।
এইবার জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসরণ করতে চাইছে রাজ্যের শিক্ষা কমিশন। দেশের অন্যান্য রাজ্যে যেমন ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষা সমান গুরুত্ব দেওয়া হয় এইবার খোদ বাংলাতে গুরুত্ব দিতে হবে বাংলা ভাষাকে। মন্ত্রিসভায় পাশ করানো হয়েছে এই শিক্ষানীতি যেখানে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাই গুরুত্ব পাবে। এছাড়াও তৃতীয় ভাষায় হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে স্থানীয় এলাকার জনপ্রিয় ভাষা। প্রতিটি বিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা পড়ানোর জন্য ন্যূনতম দুজন করে শিক্ষক অথবা শিক্ষিকা নিয়োগ করতেই হবে।
জাপান ভারতের মাটিতে মিত্রশক্তিভুক্ত ব্রিটিশ শক্তিকে আক্রমণ করতে এগিয়ে এলে আজাদ হিন্দ বাহিনী ও ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী স্বামীনাথনের নেতৃত্বে ঝাঁসি বাহিনী সিঙ্গাপুর থেকে ব্রহ্মদেশের দিকে এগোতে থাকে। এদিকে হঠাৎ বিশ্বযুদ্ধের গতি পরিবর্তন এবং মিত্রশক্তিভুক্ত বাহিনীর হাতে জাপানের পরাজয়ে জাপান সরকার সাহায্যদান বন্ধ করে দিলে আজাদ হিন্দ বাহিনীতেও বিপর্যয় নেমে আসে। শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ বাহিনী পরাজিত হয়। ১৯৪৫ সালে ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী স্বামীনাথন ব্রিটিশ সেনার হাতে গ্রেফতার হন। এবং ১৯৪৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তিনি বার্মার জেলে বন্দি ছিলেন ।
আনন্দী যোশীর চিকিৎসক হওয়ার লড়াইটা শুরু এরপর থেকেই। শুধুমাত্র চিকিৎসার অভাবে, সন্তানের মৃত্যুশোক মেনে নিতে পারেননি তিনি। সে কারণেই সিদ্ধান্ত নেন নিজেই চিকিৎসক হবেন তিনি। এই সিদ্ধান্তে তাঁকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেন তাঁর স্বামী। প্রথমে কলকাতার এক মিশনারি বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে ইংরেজী ও সংস্কৃত বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন তিনি। এরপর তিনি বিদেশে ডাক্তারি পড়তে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করায়, তাঁর স্বামী আমেরিকার ‘রয়্যাল ওয়াইল্ডার’ মিশনারি স্কুলে স্ত্রীর ইচ্ছের কথা জানিয়ে চিঠি পাঠান। এই চিঠি গিয়ে পৌঁছায় নিউ জার্সির বাসিন্দা থিওডিসিয়া কারপেন্টারের কাছে। আনন্দইবাই যোশীর পড়ার প্রতি এই আগ্রহ দেখে আপ্লুত হন তিনি এবং আনন্দিবাইকে নিজের কাছে ডেকে নেন।
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষকদের বৃহত্তম সংগঠন - এএসএফএইচএম (এডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিসট্রেস) পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের (বাংলা মাধ্যম) ২০২৪ এর মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের জন্য অফলাইন এবং অনলাইন অধ্যয়ন সামগ্রীর সমন্বয়ে একটি সম্পূর্ণ স্টাডি প্যাক প্রস্তুত করেছে। যাদবপুরের বিজয়গড় বিদ্যাপীঠে মাত্র ৪৪ জন হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিসট্রেস এর উপস্থিতিতে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারী, এএসএফএইচএম-এর ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল এবং ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছিল৷ বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সংগঠনের প্রায় ৪০০০ সদস্য রয়েছে৷
এই গর্বের মুহূর্তটি শেয়ার করে, নারায়না আইআইটি-জেইই/এনইইটি/ফাউন্ডেশন কোচিং অ্যাকাডেমি, কলকাতার সেন্টার ডিরেক্টর পৃথা হালদার এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নয়ন কুমার মণ্ডল বলেছেন, “NSAT 2023-এর ১৮তম সংস্করণ আগের চেয়ে আরও বড় এবং ভালো হতে চলেছে৷ NSAT 2023 সারা দেশে ৩০০০+ স্কুলের এবং পশ্চিমবঙ্গের ১০০ টিরও বেশি স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাবে, এবং শিক্ষার্থীদের তাদের যোগ্যতা প্রদর্শনের পরিবেশ প্রদান করবে। পরীক্ষাটি বিজ্ঞান, গণিত, মানসিক দক্ষতার মতো বিষয়গুলিকে কভার করে যা সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার দক্ষতাকে উদ্দীপিত করে। NSAT 2023-এর অন্যতম হাইলাইট হল ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তি নিশ্চিত করার সুযোগ। ১০০% পর্যন্ত বৃত্তি পাওয়া যাবে ও যোগ্য প্রার্থীরা তাদের শিক্ষাগত আকাঙ্খাগুলি অনুসরণ করতে আর্থিক সহায়তা থেকে উপকৃত হতে পারেন”।
এই গর্বের মুহূর্তটি শেয়ার করে, নারায়না আইআইটি-জেইই/এনইইটি/ফাউন্ডেশন কোচিং অ্যাকাডেমি, কলকাতার সেন্টার ডিরেক্টর পৃথা হালদার এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নয়ন কুমার মণ্ডল বলেছেন, “NSAT 2023-এর ১৮তম সংস্করণ আগের চেয়ে আরও বড় এবং ভালো হতে চলেছে৷ NSAT 2023 সারা দেশে ৩০০০+ স্কুলের এবং পশ্চিমবঙ্গের ১০০ টিরও বেশি স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাবে, এবং শিক্ষার্থীদের তাদের যোগ্যতা প্রদর্শনের পরিবেশ প্রদান করবে। পরীক্ষাটি বিজ্ঞান, গণিত, মানসিক দক্ষতার মতো বিষয়গুলিকে কভার করে যা সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার দক্ষতাকে উদ্দীপিত করে। NSAT 2023-এর অন্যতম হাইলাইট হল ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তি নিশ্চিত করার সুযোগ। ১০০% পর্যন্ত বৃত্তি পাওয়া যাবে ও যোগ্য প্রার্থীরা তাদের শিক্ষাগত আকাঙ্খাগুলি অনুসরণ করতে আর্থিক সহায়তা থেকে উপকৃত হতে পারেন”।
মুখ্যমন্ত্রী হবার সময়ে তার মাসিক আয় ছিল ৪২০০০টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর তা করেন ১৪০০০টাকা।রাইটার্স যাবার আগে প্রতিদিন তিনি কুড়িজন করে রোগীর চিকিৎসা করতেন।এর জন্য নিজের পকেট থেকে অর্থ খরচ করে আরো দুজন সহকারী সহ প্যাথোলজির ব্যবস্থাও করেন।যদিও তৎকালীন সময়ে তাঁকে বিন্দুমাত্র অপদস্ত করতে ছাড়েনি কমিউনিস্ট রা।কলকাতার প্রত্যেকটা দেওয়ালে সাঁটিয়ে দেওয়া হয় "সাবধান হও কুলনারীগণ/মসনদে বসেছে নলিনী বিধান"।এছাড়াও তিনি মদ্যপ উপযুক্ত লোককে সম্মান দিতে জানেন না এসব তো ছিলই। ছোটবেলা থেকেই অনুরাগী ছিলেন সি আর দাশের। তাঁর মৃত্যু পর যথেষ্ঠ ভেঙে পড়েছিলেন।এইসমময় হঠাৎই ঠিক করলেন সি আর দাশ এর নামে ফান্ডিং করবেন।
বরফ ব্যবসার ক্ষেত্রে রীতিমত বিপ্লব এনেছিলেন ফ্রেডরিক টিউডর নামক এক ব্যবসায়ী।সেই জন্য তিনি পরিচিত হয়েছিলেন আইস কিং নামেও।টিউডর বোস্টনের এক ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের প্রথা অনুযায়ী প্রথমে শুরু করেন বরফের ব্যবসা।সেই ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য কিছু না হওয়ায় তা বন্ধ করে দেন।এরপর ফ্রেডরিক মনস্থির করে কফির ব্যবসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকেও কোনভাবেই লাভের মুখ দেখতে পাননি। বিপুল পরিমাণে ঋণের দায়ে ডুবে গিয়ে জেলে যেতে গিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। এইসময় তিনি তাঁর জীবনের সবথেকে বড়ো বাজি খেললেন‚সিদ্ধান্ত নিলেন ব্রিটিশ শাসিত ভারতে বরফের চালান দেবেন।
কলকাতার নগরায়ণের ফলেই একটু লাভের আশায় নদীয়া‚ মুর্শিদাবাদ‚ কৃষ্ণনগর থেকে কুমোররা চলে আসতে থাকেন কলকাতায়। মাটির বাসনপত্রের পরিবর্তে চাহিদা বাড়তে থাকে কাঁসা পিতলের। এর ফলে সমস্যা তৈরি হলে পুতুল তৈরি করতে থাকেন তাঁরা। সপ্তদশ শতকের একদম শুরুর দিকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র চালু করেন দুর্গাপূজার। কালক্রমে সেই দুর্গাপূজা হয়ে দাঁড়ায় 'বাবু' সমাজের বৈভব‚ প্রতিপত্তি প্রদর্শনের মাধ্যম। কলকাতায় ধনীর পরিমাণ বাড়তে থাকার ফলে পুজোর পরিমাণও বেড়ে যায় এবং চাহিদা বাড়তে থাকে মৃৎশিল্পীদের। কাজের সুবিধার জন্য জঙ্গল পরিষ্কার করে বসবাস করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। কুমোরটুলির অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে বারেবারেই।
এতদিন জানা ছিল পৃথিবীর অন্দরমহল তিনটি স্তর দ্বারা গঠিত। ভূ-ত্বক, গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডল। ভূ-ত্বকের গভীরতা যেখানে ০ থেকে ৬০ কিমি, সেখানে গুরুমণ্ডলের গভীরতা ৬০ কিমি থেকে ২৯০০ কিমি পর্যন্ত। কেন্দ্রমণ্ডল অর্থাৎ পৃথিবীর কেন্দ্রকে ঘিরে থাকা মণ্ডলের গভীরতা ২৯০০ কিমি থেকে ৬৩৭০ কিমি পর্যন্ত। স্তরগুলি হয় কঠিন ধাতু দিয়ে তৈরী অথবা ধাতুর তরল স্রোত বয়ে চলেছে স্তর দিয়ে। স্তর গুলির মধ্যভাগে আরও স্তরের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে আগেই অনুমান করেছিলেন গবেষকরা। কিন্তু স্তর গুলির তাপমাত্রা প্রায় সূর্যের তাপমাত্রার কাছাকাছি হওয়ায় অনুসন্ধান চালান সম্ভব হয়নি।
পাশের পাড়ার বিখ্যাত প্রতিমা শিল্পী অনন্ত সূত্রধর।স্কুল থেকে ফেরার পরে বাড়িতে যখন তেমন কিছু করার মতো থাকত না রামকিঙ্কর যেতেন অনন্তের কাছে। প্রথম প্রথম নদী থেকে মূর্তির মাটি সংগ্রহ,খড় জোগাড় এইসব শ্রমের কাজই করে দিতেন।অনন্ত ধীরে ধীরে বুঝতে পারলেন এই বাচ্চা ছেলেটি শুধুমাত্র শ্রমের জন্য জন্মায়নি এর হাতের কাজ অসাধারণ।তখন থেকেই তিনি রামকিঙ্করকে কোনও মূর্তির কখনও অসম্পূর্ণ অংশ, কখনও হাত, মুখ এইসব গড়ার কাজ দিতে লাগলেন। কখনও রাধা-কৃষ্ণ কখনও কালী-শিব-দূর্গা এইসব গড়তে গড়তে বিকশিত হতে লাগল তাঁর প্রতিভা।
ড্রাগন শব্দটা শুনলেই মনে পড়ে যায় অতিকায় এক জীব যা নিজের মুখ থেকে আগুন বের করে জ্বালিয়ে দিতে পারে সামনের সমস্ত কিছুই। তার হিংস্রতার সামনে পরাজিত হতে হয় ভয়ঙ্কর শক্তিশালী জীবদেরও। আর সেই ভয়ঙ্কর ড্রাগণ যদি হাঁটাচলা ও দৌড়ানোর পাশাপাশি উড়তেও পারত, তাহলে তার ভয়াবহতা বেড়ে যেত আরও বেশ কিছুগুন। বিভিন্ন সময়ে ইংরেজি চলচ্চিত্রে এরকম ড্রাগনের ছবি আমরা প্রায়ই দেখতে পেয়ে থাকি। আর এবার বাস্তবে সেই ড্রাগনের অস্তিত্বকে সামনে নিয়ে এল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
মহাশূন্যের তারাদের দেশে রয়েছে অসংখ্য অজানা নতুন জগৎ। কোথাও বরফের চাদরে মোড়া, আবার কোথাও জ্বলন্ত অগ্নিদগ্ধ পরিবেশ, আবার কোথাও বা ভয়ানক গ্যাসীয় চাপে এক লহমায় সব শেষ করে দিতে পারে এমন এক নির্দয় জগৎ। কিন্তু এবারে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা খোঁজ দিলেন সম্পূর্ণ অন্যরকম ধাতব সম্পদের সম্ভারে পরিপূর্ণ এক জগতের। না এটা কোনো গ্রহ কিংবা কোনো নক্ষত্র নয়, একটি গ্রহাণু। সূর্য থেকে মাত্র ২.৫ থেকে ৩.৩ অ্যাস্ট্রনমিকাল ইউনিট (১ এইউ অর্থাৎ পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব) দূরত্বে অবস্থিত এই ১৬ সাইকি গ্রহাণু।
জানেন কি পৃথিবীর তিনটি বড় বড় মরুভূমির মধ্যে তিনটিই অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার এই মধ্যভাগে! এই বিস্তৃত ভূমিতে বছরে বৃষ্টিপাত কোথাও কোথাও তো গড়ে ১৩ সেমিরও কম! এসব জায়গায় বছরের বেশিরভাগ সময়ে উষ্ণতা পৌঁছায় ৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের আশেপাশে। এত তাপমাত্রা আর রুক্ষতার কারণে প্রায়ই দাবানল লাগে জঙ্গলে। মারা যায় প্রচুর পশু পাখি।
কাকা বিদূরের সু-পরামর্শে বরাবরই সাহায্য করে গেছেন পান্ডবদের। কখনও কৌরবদের ইন্দ্রপ্রস্থে জ্বলন্ত লাক্ষায় কুন্তীকে পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা ফাঁস করেছিলেন তো কখনও ভীম কে পানীয়ের সঙ্গে বিষপ্রয়োগে হত্যার ষড়যন্ত্র। দুরদর্শী যুযুৎসু বরাবরই কৌরবদের যুদ্ধের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গেছেন। অনেক দ্বিধা নিয়েও কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে পান্ডবদের বিরুদ্ধে কৌরবদের সাথেই যুদ্ধে নেমেছিলেন তিনি। মনে ছিল প্রবল সংশয়, দ্বন্দ্ব।
ঠিক যে বছর রবীন্দ্র বন্ধু প্রমথ চৌধুরী তাঁর 'সবুজপত্র' বের করলেন বেছে বেছে ঠিক সেই বছরে অর্থাৎ ১৯১৪ সালের অগ্রহায়ণ মাসেই কেন 'নারায়ণ'-এর আত্মপ্রকাশ হল সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তাও আবার সম্পাদক যেখানে চিত্তরঞ্জন দাশ এবং এ কাজে তাঁর সহকারী তাঁরই গুরু বিপিনচন্দ্র পাল। এই দুই ব্যক্তির রবীন্দ্রনাথ ও ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ সর্বজনপরিচিত। এমনকি জোড়াসাঁকোর 'খামখেয়ালী' সভায় নিত্য আসা যাওয়াও ছিল চিত্তরঞ্জনের। অবশ্য তখনও তিনি 'দেশবন্ধু' হন নি।
আনন্দী যোশীর চিকিৎসক হওয়ার লড়াইটা শুরু এরপর থেকেই। শুধুমাত্র চিকিৎসার অভাবে, সন্তানের মৃত্যুশোক মেনে নিতে পারেননি তিনি। সে কারণেই সিদ্ধান্ত নেন নিজেই চিকিৎসক হবেন তিনি। এই সিদ্ধান্তে তাঁকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেন তাঁর স্বামী। প্রথমে কলকাতার এক মিশনারি বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে ইংরেজী ও সংস্কৃত বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন তিনি। এরপর তিনি বিদেশে ডাক্তারি পড়তে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করায়, তাঁর স্বামী আমেরিকার ‘রয়্যাল ওয়াইল্ডার’ মিশনারি স্কুলে স্ত্রীর ইচ্ছের কথা জানিয়ে চিঠি পাঠান।
মিশরের ইতিহাস অনুযায়ী, এরকম অন্তত ছ’টি সূর্যদেবের মন্দির আছে, যার মধ্যে দুটির খোঁজ পাওয়া গেছে। বাকি চারটি এখনও অজানা। ১২৩ বছর আগে প্রথমটি পাওয়া গিয়েছিল আর দ্বিতীয়টির খোঁজ কিছুদিন আগেই পাওয়া যায়।
টাইটানোকোরিস গেনেসির নামের অর্থ হল টাইটানিক হেলমেট। এবং বৈজ্ঞানিকদের মতামত অনুসারে, এই নামের ব্যবহার যথার্থ বলেই মনে করা হয়। এই প্রাণীর মাথার ক্যারাপেস তার শরীরের দৈর্ঘ্যের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ । যা প্রায় ৫০ সেন্টিমিটারের কাছাকাছি । তবে বৈজ্ঞানিকরা এও বলেছেন, বর্তমান সময়কালের সঙ্গে সেই সময়ের প্রাণীদের মাপের এক বিস্তর ফারাক রয়েছে। মূলত বর্তমান সময়ের হিসেবে এই মাপ খুব বড় না হলেও সেই সময়ে অর্থাৎ প্রিক্যামব্রিয়ান পিরিয়ডে প্রাণীদের দেহের দীর্ঘতা এত বেশি হত না।
কিউরিওসিটির সম্প্রতি পাঠানো একটি ভিডিওতে মঙ্গলের বুকে ধূসর বালির এক মরুভূমি দেখা যায়। যা দেখে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন এই ধূসর বালি সমৃদ্ধ অঞ্চলটি আগ্নেয়গিরি থেকে উৎপত্তি আগ্নেয়শিলা ক্ষয়ে তৈরি হয়েছে সুদীর্ঘ সময়কাল ধরে। একই সঙ্গে এই ধূসর মরুভূমিতে থাকা অসংখ্য ঢেউ-এর আকার গুলি প্রমাণ দেয় একসময় মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের উপস্থিতির কথা। কারন বায়ুপ্রবাহের ফলেই বালিস্তরে এইরূপ তরঙ্গের সৃষ্টি হয়।
১৯২৩ সাল। মহাত্মা গান্ধীর আহ্বানে বিদেশ থেকে ফিরে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়। আদতে কন্নড় হলেও বিয়ে করেছিলেন এক বাঙালিকে। তারপরে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েন স্বাধীনতা আন্দোলনে। নাটক, হস্তশিল্প, ভারতীয় পণ্য তৈরি সবকিছুর মধ্য দিয়ে মহিলাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান কমলাদেবী।
নারী বাহিনীর সদস্যাদের মেশিনগান ও টমিগান চালানো, হাতবোমা ছোড়া, রাইফেল চালানো প্রভৃতির প্রশিক্ষণ নিতে হতো।এছাড়া ছয় মাস কঠোর সামরিক শিক্ষাগ্রহণ করতে হতো।