প্রতিবেদনে - রাহুল সাহা : শীর্ষ টাইম ডেক্স: আকারে বড়। ধবধবে সাদা। খোসা ছাড়ানো সোজা। গায়ে কোনও দাগ নেই। দামেও আবার কম। দেখেই মনে হবে একেবারে টাটকা। ফলে অগ্নিমূল্য বাজারে অনেকেই তাকে ব্যাগে ঢোকাচ্ছেন না বুঝেই। তার ঝাঁজেই স্বাদ বাড়ছে মাছ-মাংস থেকে ডিম-তরকারির।
প্রতিবেদনে - রাহুল সাহা : শীর্ষ টাইম ডেক্স: আমলকি আমাদের কাছে সুপরিচিত, তা সে কবিগুরুর গানে হোক বা আমাদের খাদ্য তালিকায়। ভেষজ এই ফলের বিস্তার অপরিসীম, তাই একে মাদার অফ ফ্রুটও বলা হয়ে থাকে। বিস্তারিত জানালেন ডায়েটিশিয়ান রাখি চট্টোপাধ্যায়।
প্রতিবেদনে - রাহুল সাহা : মহাকবি লিখেছেন, ‘খাই খাই করো কেন, এসো বসো আহারে!/ খাওয়াব আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে।’ আপনি যাই বলুন মহাকবি, ভোজনরসিক বাঙালি ভোজের থেকেও যা পছন্দ করে তা হল ওই খাই খাই। আর এমন ‘খাই খাই’-এর অব্যর্থ দাওয়াই যা বার বার খাওয়া যায়, তাই-ই। বারবার যা খাওয়া যায় তাই না খাবার! সেখানে, এমন বন্ধু আর কে আছে? তোমার মতো ফুচকা!
প্রতিবেদনে - রাহুল সাহা : শীর্ষ টাইম ডেক্স: অল্প আয়োজনেই দারুণ স্বাদ। শরতের অনুভূতি ভোরের আলো ফোটার মতো। ঘাসের উপর জমা হওয়া শিশিরবিন্দুতে ফিরে ফিরে আসে ছোটবেলার স্মৃতি। ঠাকুমার গায়ের গন্ধ। বাল্যবিধবা ছিলেন আমার ঠাকুমা নির্মলা মজুমদার। ওপার বাংলা থেকে আনা স্বাদের সমাহার ছিল তাঁর হাতে। এমনই এক স্বাদ কচু দিয়ে ডাল পাতুরি। অল্প আয়োজনেই দারুণ স্বাদ। পুজোর দিনগুলিতে তাঁর হাতে তৈরি সেই পাতুরি মুখে দিলেই চারপাশ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠত যেন!
অনেকেই আছে যারা পরোটা খেতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে আবহাওয়া ঠান্ডা হলে মানুষ আলুর পরোটা, পনির পরোটা, কোপির পরোটা খেতে পছন্দ করে। তবে খাবার ব্যাপারে এই দেশে কোনও উত্তর নেই। রাস্তার বিক্রেতারা বিশেষ করে কোনও খাবার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষায় পিছিয়ে নেই। প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে একই...........
নলেন গুড় ছাড়া গৃহস্থের শীতকাল কেমন যেন ম্যাড়ম্যাড়ে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই কমতে কমতে গুড়ের স্বাদ গন্ধটাই এখন যেন মিলিয়ে গিয়েছে, বলছেন খাদ্য রসিকরা। কিন্তু যে স্বাদ গন্ধের জন্য নলেন গুড়ের এত চাহিদা সেই নলেন গুড়ের স্বাদ গন্ধই কেন হঠাৎ হারিয়ে গেল? গুড় তৈরির সঙ্গে যুক্ত বিক্রেতারা বলছেন প্রথমত, মাটির হাঁড়ির বদলে এখন খেজুর গাছের রস সংগ্রহে দেদার ব্যবহার করা হচ্ছে প্লাস্টিকের হাঁড়ি। মাটির হাঁড়িতে রস সংগ্রহ করলে সেই রসের স্বাদ..........
লোকজন এখন বাইরে কোথাও খেতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়া ঘেঁটে দেখে নেয় কোথায় কী ভাল পাওয়া যায়। কারণ সোশ্যাল মিডিয়াতে হেন কোনও তথ্য নেই যা পাওয়া যাবে না। তবে কোনটা সত্যি আর ভুয়ো সেটা আপনাকে বিচার করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল খাবারগুলোর অন্যতম হল চকলেট কভার স্ট্রবেরি। টাটকা স্ট্রবেরির উপর গরম গরম চকলেট ঢেলে কাপে করে.............
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক ধরনের মাইক্রো এবং ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টের প্রয়োজন হয়। যা পাওয়া যায় রঙিন ফল বা সবজি থেকে। বিশেষত, শীতকালে শরীরকে তরতাজা রাখার জন্য রঙিন সবজির তুলনা মেলা ভার। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে, রঙিন ফল ও শাকসবজিতে রয়েছে ফাইটোক্যামিকেল, রঞ্জক পদার্থ ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের দেহকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং শরীরে প্রবেশকৃত জীবাণুর........
সুরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর! এবার জমে যাবে শীতকাল! কারণ জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয় বিক্রয়কারী কোম্পানি কোকা-কোলা ইন্ডিয়া এবার মদের বিভাগে প্রোডাক্ট লঞ্চের রাস্তায় হাঁটল। ইতিমধ্যেই প্রথমবারের জন্য কোম্পানিটি বাজারে এনেছে নতুন হার্ড ড্রিংকস। যা সুরাপ্রেমীদের মন খুশি করবে বলে ধারণা। লেমন ডউ নামে মদের ব্র্যান্ডটিকে এই প্রথম ভারতের বাজারে প্রবেশ করাল কোম্পানি। বর্তমানে গোয়া এবং মহারাষ্ট্রে এই মদ বিক্রি করছে কোকাকোলা। কিন্তু শীঘ্রই ভারতের অন্যান্য শহরেও.......
কলকাতার খাবারের ইতিহাস দেখতে গেলে, যদি আমরা কিছু দশক আগে ফিরে যাই, তাহলে দেখতে পাবো শহরের বুকে রমরমিয়ে চলছে পাইস হোটেল। ঘরোয়া স্বাদের খাবার, পাত পেড়ে একসাথে খাবার খাওয়া, আর সাথে সকল শ্রেণির মানুষের আনাগোনাই পাইস হোটেলের বৈশিষ্ট্য। আজও পকেটে ১০০ টাকা হাতে থাকলেই পেট পুরে খেয়ে আসা যাবে শহরের.........
যে কোনো প্রাণীর বেঁচে থাকতে জল যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য। তাছাড়াও আমরা জানি জলে থাকে অনেক মিনারেল বা খনিজ যা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণভাবে দরকারি। কিন্তু আদৌ কি জলে থাকা সেই খনিজ এসে পৌঁছাচ্ছে.....
আলু মানেই কী শুধু ওজনবৃদ্ধি, ডায়াবেটিসে খাওয়া মানা এই সব, আলুর কি পুরোটাই দোষ নাকি গুণও আছে৷ অনেকের দাবি, আলু স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিতে ভরপুর। আলুতে রয়েছে ফাইবার, পটাসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি ৬। এত খাদ্যগুণ থাকা সত্ত্বেও .........
চা আমাদের সকলেরই প্রিয়। পানীয় হিসেবে চা এতটাই জনপ্রিয় যে বিদেশিদেরও এই চা ছাড়া চলে না। আর শুধু প্রিয়ই নয় নিত্যসঙ্গীও বটে। কোনও আত্মীয়ের বাড়ি গেলে তারা সবার আগে চা অফার করে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরও আমাদের মধ্যে অনেকেরই চা টা আবশ্যক। লাল চা - দুধ চা ছাড়াও আরও অনেক রকমের চা হয়। আমাদের প্রতিবেদনে আজ আমরা জানবো সেই প্রত্যেকটি রকমের চা ও তার উপকারিতা....
' মন্ডা - মিঠাই ' এই শব্দটা আমরা সবাই শুনেছি। খাদ্য রসিক বাঙালির ' মন্ডা - মিঠাই ' খেতে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন মিঠাইয়ের সঙ্গে এই ' মন্ডা ' শব্দটা কেন বলি? জানলে হয়তো অনেকেরই অবাক লাগবে যে, এই ' মন্ডা ' ব্যাপারটা হল একধরনের......
রবিবারের দুপুরে জমিয়ে পাঁঠার মাংস, বর্ষার দিনে হাঁসের ডিম ভাজা দিয়ে খিচুড়ি কিংবা বাড়িতে জামাই এলে সর্ষে জাম্বো ইলিশ, এইসব নিয়েই বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণ ভরা। সেই বাঙালির কানে 'ভেগান' শব্দটা শুনলে যে খটকা লাগবেই তা বলাবাহুল্য।
একবাটি পাথর খাওয়ার জন্য চিনের মানুষ খরচা করছেন হাজার হাজার টাকা! কি বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে? এমনটাই ঘটেছে সেই দেশে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পাথরের সেই ডিশের নাম সুয়োদিয়ো যার অর্থ হল চুষে চুষে খাওয়া । প্রায় শতবছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই খাবার। মাঝিদের নৌকায় খাবার না থাকলে তারা এটি তৈরি করত। পূর্ব চিন থেকে এই রন্ধন প্রণালী উদ্ভুত হলেও বর্তমানে চিনের জনপ্রিয় স্ট্রিটফুড এটি।
মনে করা হয় পারসিয়ান শব্দ 'বিরিনজ' যার অর্থ ভাত, তা থেকেই না কি 'বিরিয়ানি' শব্দের উৎপত্তি। আবার কারও কারও মত, 'বিরিনজ' নয় আদপে পারসি শব্দ 'বিরিয়ান' শব্দ থেকে 'বিরিয়ানি' পদটির নামকরণ। পারস্য দেশের এই খাবার মুঘলদের হাত ধরেই প্রথম উত্তর ভারতে আসে বলে মনে করা হয়। যদিও দক্ষিণ ভারতের গল্প কিছুটা আলাদা। সেখানে নাকি আরবের ব্যবসায়ীদের হাত ধরে প্রবেশ করেছিল বিরিয়ানী। তখন তার নাম ছিল আন সোরু। তবে গোলাপ তো গোলাপই থাকে, তা সে যে বাগানেই ফুটুক না কেন! একসময়ে রাজারাজড়া আর সৈন্যদের খাবার এখনকার জমানায় চলে এসেছে সব্বার হাতের নাগালে। বছর দশেক আগেও কিন্ত বিরিয়ানি মিলত বাছা বাছা কয়েকটা মাত্র রেস্টুরেন্টে। আর আজ পথে ঘাটে, লাল শালু ঢাকা হাঁড়ি আর অপূর্ব গন্ধেই ক্ষিদে পেয়ে যায় আট থেকে আশির।
গেট দিয়ে ঢুকে মাঠ পেরিয়ে অন্য প্রান্তে গেলেই এনাদের অফিস। অভিনাশ বলে একটি ছেলে এখানে থাকে। সে বললো অফিসের নাম্বারে ফোন করে বুকিং-এর খবরাখবর নেওয়া যায়। ভাড়া স্লট অনুযায়ী ও ঘন্টা প্রতি। ভোর ৫টা থেকে সকাল ১১ টা, দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪টে, এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০ টা। সবথেকে কম ভাড়া দুপুরের স্লটে, ঘন্টা প্রতি ৯০০ টাকা।
মাঝারি আয়তনের এই ক্যাফেটির অন্দরসজ্জা বেশ আকর্ষণীয়।মূল সাদা রঙের দেওয়ালে নানান রঙের ডাকটিকিটের বিশাল বিশাল রেপ্লিকা জ্বলজ্বল করছে।এগুলি হাতে তৈরি। দেওয়াল জুড়ে নানান রকম রঙের ডাক টিকিটের সমাহার দেওয়াল গুলিকে উজ্জ্বল করে তুলেছে। উঁচু সিলিং থেকে লম্বা লম্বা রড থেকে ঝুলছে বেশ কয়েকটা ফ্যান এবং শ্যান্ডেলিয়ার।দেওয়ালের রঙের সঙ্গে মানানসই বসার জায়গাগুলো।লাল সবুজ এবং ক্রিম রঙের টেবিল-চেয়ারে বসার ব্যবস্থা যেমন রয়েছে তার সঙ্গে রয়েছে সোফা আর টেবিলে বসার জায়গাও।সব আসবাব কাঠের তৈরি।
হোটেলের নাম 'spence's' স্পেন্সে'স। এমন নাম হওয়ার কারণ কোনও এক জন স্পেন্স সাহেব ১৮৩০ সালে কলকাতায় এই হোটেল তৈরি করেন। তৎকালীন কলকাতা ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দৌলতে জমজমাট। সারা বছর ইংল্যান্ড এবং অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশের মার্চেন্ট, ছোট বড় ব্যবসায়ী আর গভর্নমেন্টের উচ্চপদস্থ হোমড়াচোমড়াদের আনাগোনা লেগেই থাকত। কখনও সরকারি কাজে তো কখনও ব্যবসার কাজে সাদা চামড়ার লোকজন কলকাতা আসলে তাঁদের থাকা খাওয়ার ঢালাও ব্যবস্থা না থাকলে কি চলে?
পারস্য দেশের এই খাবার মুঘলদের হাত ধরেই প্রথম উত্তর ভারতে আসে বলে মনে করা হয়। যদিও দক্ষিণ ভারতের গল্প কিছুটা আলাদা। সেখানে নাকি আরবের ব্যবসায়ীদের হাত ধরে প্রবেশ করেছিল বিরিয়ানী। তখন তার নাম ছিল আন সোরু। তবে গোলাপ তো গোলাপই থাকে, তা সে যে বাগানেই ফুটুক না কেন! একসময়ে রাজারাজড়া আর সৈন্যদের খাবার এখনকার জমানায় চলে এসেছে সব্বার হাতের নাগালে। বছর দশেক আগেও কিন্ত বিরিয়ানি মিলত বাছা বাছা কয়েকটা মাত্র রেস্টুরেন্টে। আর আজ পথে ঘাটে, লাল শালু ঢাকা হাঁড়ি আর অপূর্ব গন্ধেই ক্ষিদে পেয়ে যায় আট থেকে আশির।