শীর্ষ টাইমস ডেস্ক: বহুদিন ধরেই বেশ কিছু সংগঠনের অভিযোগ ছিল বিদ্যালয়ের গুলিতে সঠিকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না মাতৃভাষা বাংলার। ইংরেজি কে প্রথম ভাষা হিসাবে বিবেচনা করে তৃতীয় ভাষায় ক্ষেত্রে বাংলার পরিবর্তে হিন্দী বা অন্য ভাষার উপর জোর দেয় বেসরকারি বিদ্যালয় গুলি। এইবার এই নিথির ক্ষেত্রে আনতে হবে পরিবর্তন। বিদ্যালয়ে গুলিতে সমান জোর দিয়ে পড়াতে হবে বাংলা ভাষাকে। এমনটাই নির্দেশ সোমবার দিয়েছে রাজ্য।
এইবার জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসরণ করতে চাইছে রাজ্যের শিক্ষা কমিশন। দেশের অন্যান্য রাজ্যে যেমন ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষা সমান গুরুত্ব দেওয়া হয় এইবার খোদ বাংলাতে গুরুত্ব দিতে হবে বাংলা ভাষাকে। মন্ত্রিসভায় পাশ করানো হয়েছে এই শিক্ষানীতি যেখানে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাই গুরুত্ব পাবে। এছাড়াও তৃতীয় ভাষায় হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে স্থানীয় এলাকার জনপ্রিয় ভাষা। প্রতিটি বিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা পড়ানোর জন্য ন্যূনতম দুজন করে শিক্ষক অথবা শিক্ষিকা নিয়োগ করতেই হবে।
এটি ছাড়াও নেওয়া হয়েছে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ডিগ্রি কোর্সের মেয়াদ বাড়িয়ে করা হচ্ছে চার বছর। সরকারের তরফ থেকে গঠন করা হচ্ছে একটি কমিশন‚ যার শীর্ষে থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। ওই কমিশনের কাজ হবে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিকে নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা। যখন তখন স্কুলের বেতন বাড়ানো, একাধিক অভিযোগকে গুরুত্ব নিয়ে দেওয়া পুরোটাই আসবে এই কমিশনের আওতায়। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিশন গঠনের সিলমোহর। শীঘ্রই রাজ্যের তরফে কমিশনের সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলির জন্য এবার একাধিক গাইডলাইন দিয়ে দেবে রাজ্য এই কমিশনের মাধ্যমে। রাজ্য সরকারের নতুন শিক্ষানীতিকে সমর্থন জানাচ্ছেন অভিভাবকরা।
ছবি সংগৃহীত
Leave Comments