প্রতিবেদনে - রাহুল সাহা : শীর্ষ টাইম ডেক্স: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী রচনা পথের পাঁচালীকে পর্দায় নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন সত্যজিৎ রায়। সেই সিনেমার ছোট্ট দুর্গা এবং তাঁর অভিনয় এতগুলো বছর পরে গিয়েও দর্শকদের মনে জীবন্ত। বিশেষ করে দুর্গা ওরফে উমা দাশগুপ্তর সেই প্রাণোচ্ছ্বল হাসি। সোমবার লাইম লাইটের অন্তরালে থাকা সেই অভিনেত্রী চলে গেলেন পরপারে। এদিন সকালে বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন উমাদেবী।
মাসখানেক আগেই নেটপাড়ায় আচমকা রটে যায় যে, উমা দাশগুপ্ত নাকি প্রয়াত! সেই খবর ছড়াতেই সিনেদুনিয়ার অন্দরে শোরগোল শুরু হয়ে যায়। পরে জানা যায়, অভিনেত্রী দিব্যি সুস্থ রয়েছেন। ভালো আছেন। শান্তিনিকেতন থেকে ফিরেছেন কলকাতায়। সেটা ছিল মার্চ মাসের কথা। তবে ১৮ নভেম্বর, সোমবার অভিনেত্রীর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার খবর এল। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। উমাদেবী যে আবাসনে থাকতেন সেই একই আবাসনে থাকেন অভিনেতা-বিধায়ক চিরঞ্জিৎ। অভিনেত্রীর প্রয়াণের খবর নিশ্চিত করে শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি।
শৈশব থেকেই থিয়েটার করতেন উমা দাশগুপ্ত। যে স্কুলে পড়তেন, সেখানকার প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের পরিচয় ছিল। আর সেই শিক্ষকের সুবাদেই মাণিকবাবু আবিষ্কার করেছিলেন ‘পথের পাঁচালি’র দুর্গা উমা দাশগুপ্তকে। যদিও তাঁর বাবা চাননি মেয়ে সিনেদুনিয়ায় আসুক। তবে শেষমেশ উমার পরিবারকে রাজি করিয়ে নেন পরিচালক। সিনেপর্দায় দুর্গার মৃত্যু শুধু অপুর মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছিল তাই নয়, দুর্গার মৃত্যু কাঁদিয়েছিল আপামর দর্শককূলকেও। বছর দুয়েক আগে, অনীক দত্তর ‘অপরাজিত’ দেখে উমা দাশগুপ্তর (উমা সেন) মেয়ে শ্রীময়ী অভিযোগ তুলেছিলেন, ছবিতে তাঁর মায়ের চরিত্রকে ভুলভাবে দেখানো হয়েছে। সেই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বেশ শোরগোলও হয়েছিল।
Leave Comments