প্রতিবেদনে - রাহুল সাহা : শীর্ষ টাইম ডেক্স: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল আইসিসি। শুক্রবার আইসিসি বোর্ড বৈঠকে পাকিস্তান বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভিকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হল, যদি ‘হাইব্রিড মডেলে’ টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে না রাজি হয় পাকিস্তান, তা হলে তাদেরকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে! এবং সেটাও অন্য দেশে!
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসার কথা। কিন্তু ভারত জানিয়ে দিয়েছে, তারা টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তানে যাবে না। ভারত ‘হাইব্রিড মডেলে’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার পক্ষপাতী। অর্থাৎ, পাকিস্তানে হবে অধিকাংশ খেলা। কিন্তু ভারত খেলবে অন্যত্র। যা একেবারেই মানতে রাজি হয়নি পাকিস্তান। তারা পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনে তারা রাজি নয়।
এ দিনের বৈঠকের আগেও নিজেদের কড়া স্টান্স ধরে রেখেছিলেন পাক বোর্ডের চেয়ারম্যান। শোনা যাচ্ছে, আইসিসির বিভিন্ন দেশের সদস্যরা পাকিস্তানের ব্যাপারটা নিয়ে সহানুভূতিশীলও ছিল। কিন্তু হাইব্রিড মডেল নিয়ে পাক বোর্ড চেয়ারম্যান অনমনীয় স্টান্স নেওয়ায়, সব ঘুরে যায়। বৈঠক আর এগোয়ওনি। মাঝপথেই ভেস্তে যায়। পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা যদি হাইব্রিড মডেলে রাজি না হয়, তা হলে তাদের ছাড়াই হবে টুর্নামেন্ট। বৈঠকে উপস্থিত অনেকেই বলেছেন যে, এটা পাকিস্তানও জানে যে, ভারত ছাড়া টুর্নামেন্ট করা মানে, একটা পয়সাও আইসিসি-র কোষাগারে ঢুকবে না। তাই ভারতকে বাদ দিয়ে টুর্নামেন্ট করার কোনও প্রশ্নই নেই। বাদ যদি দিতেই হয়, কোনও সমাধানসূত্র যদি না বেরোয়, তা হলে পাকিস্তানকেই সেক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হবে।
দাঁড়ান, এখানেই শেষ নয়। পাক বোর্ড প্রধানকে এটাও আইসিসি বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, যদি তাঁরা হাইব্রিড মডেলে রাজি থাকেন, তা হলেই একমাত্র আলোচনায় বসার সম্ভাবনা রয়েছে। না হলে নেই। আজ, শনিবার সেই বৈঠকের খসড়া নির্ধারিত করা রয়েছে। তবে পুরোটাই নির্ভর করবে পাকিস্তানের সিদ্ধান্তের উপর। তারা যদি হাইব্রিড মডেলে সম্মত হয়, তা হলে ভারত নিজেদের ম্যাচ খেলবে আরব আমিরশাহিতে। আর রাজি না হলে, সমস্ত আলোচনা পর্ব শেষ। পাকিস্তানকে ছাড়া হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। হবে পাকিস্তানের বাইরে।
Leave Comments