প্রতিবেদনে - রাহুল সাহা : শীর্ষ টাইম ডেক্স: বক্স অফিসে বিক্রান্ত মাসের দ্য সবরমতী রিপোর্ট তেমন ব্যবসা করতে না পারলেও, গোধরা কাণ্ড নিয়ে তৈরি এই ছবি মন জিতে নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আর তাই তো সোমবার পার্লামেন্টে এই ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে ছবি দেখে আপ্লুত মোদি। ছবি দেখে বেরিয়ে এক্স প্রোফাইলে ছবির টিমকে শুভেচ্ছায় ভরালেন প্রধানমন্ত্রী। টুইটে তিনি লিখলেন, ”খুব ভাল করে গল্পটা বলা হয়েছে। আর হ্যাঁ, গল্পের মধ্যে দিয়ে সত্যিটা বেরিয়ে এসেছে। আর সেটা এভাবেই যাতে সাধারণ মানুষ কথাগুলো বুঝতে পারেন। মিথ্যে কথা খুব কম সময়ের জন্যই থাকে। আসল ঘটনা কখনও না কখনও সামনে বেরিয়ে আসেই।” ছবি দেখে একই কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহ এই ছবি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “শত চেষ্টা করলেও সত্যকে কখনও অন্ধকারে চাপা দিয়ে রাখা যায় না। ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ একটা তৈরি হওয়া ধারণাকে ভেঙেছে সাহসের সঙ্গে। বহু সত্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে এই ছবির মাধ্যমে।”
ওপার বাংলায় হিন্দু হত্য়ার একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে। ইসকন নিষিদ্ধ এবং ইসকনের সদস্যের গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিশ্ব রাজনীতি তোলপাড়। বাংলাদেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। সংসদের অধিবেশনেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমাগত আলোচনা চলছে। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে, প্রধানমন্ত্রীর ২০০২ সালের গোধরা-কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে তৈরি দ্য সবরমতী রিপোর্ট ছবি দেখার ঘটনাকে রাজনৈতিক মহল মোটেই সহজভাবে দেখছেন না। অনেকের মতে যেভাবে গোটা দেশে মেরুকরণের রাজনীতি প্রসারিত হচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এমন পদক্ষেপ, প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, গোধরা কাণ্ড নিয়ে বিতর্কের সঙ্গে সঙ্গে যে প্রাণনাশের হুমকিও জুটবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি মুখ্য অভিনেতা বিক্রান্ত মাসে। ছবিতে বিক্রান্ত একজন স্থানীয় সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর এক সহকর্মীর ভূমিকায় রাশি খান্না রয়েছেন। সম্প্রতি ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ ছবির প্রচারেই বিক্রান্ত জানিয়ে ছিলেন, “প্রাণনাশের হুমকিবার্তা পাচ্ছি। আমরা ছবির গোটা টিম বিষয়টি দেখছি এবং সবাই মিলে পরিস্থিতির সামাল দিচ্ছি। আমরা শিল্পী। আমরা গল্প বলি। ছবি পুরোপুরি তথ্য ভিত্তিক। এটা বলতে পারি, ছবি এখনও মুক্তি পায়নি, তাই আগে থেকেই কোনও ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করা উচিত নয়।”
Leave Comments