প্রতিবেদনে - রাহুল সাহা : শীর্ষ টাইম ডেক্স: প্রথম ইনিংসে বড় রানের লিড নিল অস্ট্রেলিয়া। নেপথ্যে ট্রাভিস হেডের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি। এমনিতেও ভারতকে দেখলেই তেড়েফুঁড়ে ওঠেন হেড। সেটা ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল হোক বা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। বর্ডার গাভাসকর ট্রফিই বা বাদ যায় কেন? হর্ষিত রানা, মহম্মদ সিরাজদের যাবতীয় দর্পচূর্ণ করে অ্যাডিলেড টেস্টে ১৪১ বলে ১৪০ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। ৪ উইকেট তুলে বুমরাহ একদিক সামাল দিলেন। তাতেও ১৫৭ রানের লিড তুলল অস্ট্রেলিয়া। গোলাপি বল টেস্টে তাদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৩৭ রানে। সিরাজ ৪ পেলেও রান বিলোলেন দেদার। অবশ্য হেডকেও তিনিই ফেরালেন।
প্রথম দিনটা হতাশাজনকই ছিল ভারতের জন্য। মাত্র ১৮০ রানে গুঁটিয়ে যায় রোহিত-বিরাটদের ইনিংস। দিনের শেষবেলাটাও আশাব্যঞ্জক ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার মাত্র একটি উইকেটই ফেলতে পেরেছিলেন বুমরাহরা। দ্বিতীয় দিনেও একমাত্র বুমরাহ ছাড়া গোলাপি বলে সেভাবে উজ্জ্বল হতে পারলেন না বাকিরা। প্রথম সেশনেই টিম ইন্ডিয়ার স্কোর ছাপিয়ে যায় অজিরা। হেড-লাবুশেনদের ব্যাটে ভর করে ১১ রানের লিড পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল ভারত। সেটা জশপ্রীত বুমরাহর সৌজন্যে। দিনের শুরুতেই অজি শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন তিনি। প্রথমে আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার ম্যাকসুইনিকে ফেরান ৩৯ রানে। দু’ওভার পরই বুমরাহর শিকার হন স্টিভ স্মিথ। তিনি আউট হন ২ রানে। সেসময় অজিদের স্কোর ১০৩ রানে ৩ উইকেট। যেভাবে বুমরাহ বল করছিলেন মনে হচ্ছিল ভারত ম্যাচে ফিরলেও ফিরতে পারে। সমস্যাটা হল বুমরাহ অন্য প্রান্ত থেকে যোগ্য সঙ্গত পেলেন না। উলটে সিরাজ-রানারা ভুরি ভুরি রান বিলোলেন।
লাবুশেনকে ৬৪ রানের মাথায় আউট করেন নীতীশ রেড্ডি। মিচেল মার্শ, অ্যালেক্স ক্যারিরাও বড় রান পাননি। কিন্তু হেডকে থামাবেন কে? তিনিই ফের মাথাব্যথা হয়ে উঠলেন ভারতের জন্য। প্রথম সেশনে বুমরাহকে ৪ ওভারের বেশি কেন বল দেওয়া হল না, তা নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে। অবশ্য পরে যে ছবি দেখা গেল, তাতে বুমরাহর চোট নিয়েও জল্পনা হতে পারে। সেক্ষেত্রে সিরাজ, রানাদের নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেললেন হেড। টেস্ট না ওয়ানডে, ধরাই গেল না। অবশেষে ১৪১ বলে ১৪০ রান করে আউট হন তিনি। ঝামেলায় জড়ালেন সিরাজের সঙ্গেও।
তার পর স্টার্ক-কামিন্সরা আরও ২৭ রান জোড়েন। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থেমে যায় ৩৩৭ রানে। ভারতের মাথায় চেপেছে ১৫৭ রানের বিরাট লিড। এবার এই টেস্টের ভবিষ্যৎ ভারতের ব্যাটারদের হাতেই।
Leave Comments