প্রতিবেদনে - রাহুল সাহা : শীর্ষ টাইম ডেক্স: ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। অক্টোবর মাসে সম্ভাবনা জাগিয়েও ব্যালন ডি’ওর পুরস্কার পাননি তিনি। অবশেষে ‘প্রাপ্য’ সম্মান পেলেন রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিলের তরুণ অ্যাটাকার। ২০২৩-২৪ মরশুমে রিয়ালের হয়ে তিনি ২৪টি গোল ও ১১টি অ্যাসিস্ট করেছেন।
ব্যালন ডি’ওর পেয়েছিলেন স্পেন ও ম্যাঞ্চেস্টার সিটির রদ্রি। যা নিয়ে বিতর্কও হয়। ফিফার বর্ষসেরা হয়ে ভিনিসিয়াস ‘প্রাপ্য’ সম্মান পেলেন বলে মনে করা হচ্ছে। রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা জয়ের প্রধানতম কারিগর ছিলেন তিনি। এই প্রথমবার ফিফার বর্ষসেরা হলেন ভিনিসিয়াস। তাঁর পয়েন্ট ৪৮। দ্বিতীয় হয়েছেন রদ্রি (৪৩)। তৃতীয় স্থানে আছেন রিয়ালে ভিনির সতীর্থ জুড বেলিংহ্যাম (৩৭)।
পুরস্কার পেয়ে ভিনি বলছেন, “অবশেষে আমার সময় এসেছে। হ্যাঁ, আমি বর্ষসেরা ফুটবলার। আর এর জন্য আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। ওরা বারবার আমাকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ওরা এখনও তৈরি নয়। কেউ আমাকে শিখিয়ে দেবে না, কার জন্য আমি লড়াই করব। কিংবা আমার আচরণ কীরকম হবে।” বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে ভিনিসিয়াস বরাবরই সরব। তাঁর ব্যালন ডি’ওর ‘বঞ্চনা’র ক্ষেত্রে সেই বিষয় কাজ করেছে বলে অনুমান করা হয়েছিল। ব্রাজিলের রোনাল্ডোও ভিনির পাশে দাঁড়িয়ে বলছেন, “ওরা চাইলেও তোমায় মুছতে পারবে না। বিশ্বের সেরা ফুটবলার একজন কৃষ্ণাঙ্গ ও ব্রাজিলিয়ান।”
ফিফার বর্ষসেরা একাদশেও আছেন ভিনিসিয়াস। সেরা কোচ হয়েছেন রিয়ালেরই কার্লো আন্সেলোত্তি। মহিলাদের বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন স্পেন ও বার্সেলোনার আইতানা বোনমাতি। ফিফার সেরা গোলকিপার হয়েছেন আর্জেন্টিনার ইমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বছরের সেরা গোল, পুসকাস পুরস্কার পেয়েছেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের আলেজান্দ্রো গার্নাচো। এভার্টনের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য ব্যাকভলির গোলের জন্য পুসকাস পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
Leave Comments