প্রতিবেদনে - রাহুল সাহা : শীর্ষ টাইম ডেক্স: পুর্ব সিকিমে ফের হালকা বৃষ্টির সঙ্গে তুষারপাত শুরু। পথঘাট তো বটেই, শুক্রবার তুষারকুচিতে ঢেকেছে ইয়াকের পশম শরীর, গাছগাছালি। খবর মিলতে নেমেছে পর্যটকের ঢল। এবার বড়দিনে তুষারপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। তাই তার আগে যতটুকু পাওয়া যায় সেটাই যেন তাড়িয়ে উপভোগের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, শনিবার উত্তর সিকিম এবং দার্জিলিং পাহাড়ের উঁচু এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা প্রবল। এরপর তাপমাত্রা নামলেও বড়দিনে বরফ সাদা পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগের সুযোগ নাও মিলতে পারে। তবে মাসের শেষে ফের তুষারপাত শুরু হবে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের সিকিম কেন্দ্রের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, “পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে সিকিমের আকাশ মেঘলা হতে শুরু করেছে। উঁচু এলাকায় হালকা বৃষ্টির সঙ্গে তুষারপাত হচ্ছে। শনিবার উত্তর-পূর্ব সিকিম এবং সংলগ্ন দার্জিলিং পাহাড়ে হালকা বৃষ্টির সঙ্গে তুষারপাতের সম্ভাবনা প্রবল।”
হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, এবার বড়দিনে ঠান্ডা থাকলেও পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা নেই বললে চলে। তবে বড়দিনের পর ২৭-২৯ ডিসেম্বর হালকা বৃষ্টির সঙ্গে ভারী তুষারপাত হতে পারে সিকিম এবং দার্জিলিং পাহাড়ের উঁচু এলাকায়। বিশেষ করে উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলা এবং গ্যাংটক ও গ্যালশিং জেলার দুএক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সঙ্গে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর পশ্চিম হিমালয়ের কাছে একটি নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে৷ ফলে ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাপক তুষারপাত হতে পারে বলেই আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সেটা হলে বড়দিনে যে পর্যটকরা পাহাড়ে কয়েকদিনের সময় নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন, তাঁরা বরফে ঢাকা পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগের সুযোগ পেতে পারেন।
শুক্রবার সকাল থেকে পাহাড়ের আকাশ মুখ ভার করে আছে। বেলা বাড়তে বৃষ্টি শুরু হয় পূর্ব সিকিমের উঁচু এলাকায়। কিছুক্ষণের মধ্যে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নামে। ছাঙ্গু উপত্যকা-সহ না-থুলা সীমান্তে শুরু হয় তুষারপাত। এবার উত্তর সিকিমে সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে তুষারপাত শুরু হয়েছে। লাচুং, লাচেন, গুরুদোংমার হ্রদ এবং ছাঙ্গু উপত্যকার মতো জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো বরফের চাদরে মুখ ঢেকেছে। ডিসেম্বরে কয়েক দফায় বরফের দেখা মিলেছে। পর্যটকের ঢল নেমেছে সেখানেও।
Leave Comments