• India
  • Last Update 11.30 am
  • 29℃ Kolkata, India
news-details
Helth

আদতে এক মনে হলেও এক নয়, জেনে নিন সাইক্রিয়াটিস্ট ও সাইকোলজিস্টের মধ্যে পার্থক্য

ad

শীর্ষ টাইমস ডেস্ক: আমরা যেই সমাজে বাস করি সেখানে এখনও মানসিক অসুস্থতাকে পাগলের আখ্যা দেওয়া হয়। কিন্তু এই যুগে মানসিক অসুস্থতা কিন্তু স্বাভাবিক ব্যাপার। ঠিকঠাক চিকিৎসায় সেটা কমে যেতে পারে। কিন্তু তার জন্য শুরুতেই উচিৎ সাইক্রিয়াটিস্ট বা সাইকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া। অতি শীঘ্র পরামর্শ নিলে চিকিৎসা ব্যয় সাপেক্ষ হতে পারে।

 সাইক্রিয়াটিস্ট ও সাইকোলজিস্ট এই দুটো শব্দই খুব চেনা হলেও কিছু পার্থক্য আছে উভয়ের ক্ষেত্রেই। চিকিৎসার ধরণ থেকে শুরু করে ডিগ্রি এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোন রোগের ক্ষেত্রে কার কাছে পরামর্শ নিলে আপনার উপকার হবে। আপনি যদি নিজের মধ্যে কোনও মানসিক বা চিন্তাধারার পরিবর্তন ঘটে তবে এই প্রতিবেদন আপনার জন্য। আসুন প্রথমে দেখেনি এই দুই বিশেষজ্ঞের মধ্যে পার্থক্য যাতে আপনি নিজের জন্য কোনটা ভালো সেটা বাছাই করে নিতে পারেন।

ডিগ্রি: সাইক্রেটিস্ট হতে গেলে আর পাঁচটা ডাক্তারের মতোই পড়াশুনা করতে হয় মেডিকেল কলেজ থেকে। তাই তাঁরা ওষুধ লিখে দিতে পারেন। মানসিক রোগের তীব্রতা বেশি হলে বা তা থেকে শারীরিক অসুস্থতার অবনতি হলে সাইক্রিয়াটিস্টের কাছে যাওয়া উচিৎ।

সাইকোলজিস্ট হতে হলে ফিলোসফি বা সাইকোলজিতে পিএইচডি করতে হবে এবং মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা ওষুধের পরামর্শও দিতে পারেন।

শারীরিক বিষয়ক নিরাময়: সাইক্রিয়াটিস্টরা মূলত মানসিক সমস্যার শারীরিক দিকটা দেখেন। শারীরিক কোনও সমস্যার জন্য যদি মানসিক অবস্থার অবনতি হয় তখন সাইক্রাটিস্টরা সেই অসুখের নিরাময় করে ওষুধের মাধ্যমে।

সাইকোলজিস্টরা মূলত মানসিক সমস্যার সমাধান করেন কথা বলার মাধ্যমে। কোনও ব্যক্তির মানসিক উন্নতি ঘটায় একজন সাইকোলজিস্ট।

চিকিৎসা পদ্ধতি: সাইক্রিয়াটিস্ট মূলত জোর দেয় ওষুধের উপর। তাঁরা চিকিৎসা শুরুও করেন ওষুধ দিয়ে।

কিন্তু ওপর দিকে সাইকোলজিস্টরা জোর দেয় কথা বলার উপর। তাঁরা কথা বলে রোগীর মানসিক সমস্যার উন্নতি সাধনের চেষ্টা করেন।

রোগী দেখার ধরন: আর পাঁচটা ডাক্তারের মতোই সাইক্রিয়াটিস্টরা একজন রোগীর পিছনে ১০ থেকে ৩০ মিনিট ব্যয় করে থাকেন। একমাস পর পর রোগীকে ভিসিট করতে বলেন।

অপরদিকে সাইকোলজিস্টরা একজন রোগীর পিছনে ৪৫ মিনিট ব্যয় করে থাকেন। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার রোগীকে ভিসিট করতে বলেন। রোগীকে সুস্থ হতে  ৬-১২ বার আসতে হয়।

যদি আপনার মানসিক সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি আজকের এই প্রতিবেদন থেকে অনেকটাই বুঝতে পারছেন যে আপনার এই মুহূর্তে কার থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। তাও মনে কোনো সন্দেহ থাকলে আপনি নিজের সাধারণ ডাক্তারের থেকে পরামর্শ নিয়ে তারপর সিদ্ধান্তে আসতে পারেন।

 

ছবি: সংগৃহীত 

You can share this post!

Leave Comments