শীর্ষ টাইমস: ড্রাগন শব্দটা শুনলেই মনে পড়ে যায় অতিকায় এক জীব যা নিজের মুখ থেকে আগুন বের করে জ্বালিয়ে দিতে পারে সামনের সমস্ত কিছুই। তার হিংস্রতার সামনে পরাজিত হতে হয় ভয়ঙ্কর শক্তিশালী জীবদেরও। আর সেই ভয়ঙ্কর ড্রাগণ যদি হাঁটাচলা ও দৌড়ানোর পাশাপাশি উড়তেও পারত, তাহলে তার ভয়াবহতা বেড়ে যেত আরও বেশ কিছুগুন। বিভিন্ন সময়ে ইংরেজি চলচ্চিত্রে এরকম ড্রাগনের ছবি আমরা প্রায়ই দেখতে পেয়ে থাকি। আর এবার বাস্তবে সেই ড্রাগনের অস্তিত্বকে সামনে নিয়ে এল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। জানা যাচ্ছে একসময় পাখির মত উড়ে বেড়াতে পারত এই অতিকায় ডাইনোসরগুলি। আর সেগুলোকে বলা হত উড়ুক্কু ড্রাগন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চিলির আতাকামা মরুভূমিতে বিজ্ঞানীরা এই উড়ুক্কু ড্রাগনের জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন বলেই জানা যাচ্ছে । বিজ্ঞানীদের ধারণা জুরাসিক যুগে এই ডাইনোসর গুলি উত্তর গোলার্ধের দিকে বিচরণ করত। এমনকি এরা টেরোসরাসের গোত্রের অন্তর্গত ছিল। ১৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে তাদের আনাগোনা ছিল।
প্রসঙ্গত, এই ভয়াবহ জীবের পাশাপাশি এদের শরীরের বিবরণ দিতে গিয়ে বৈজ্ঞানিকরা বলেছেন এদের শরীরে দীর্ঘ একটি লেজ উপস্থিত থাকত। পাশাপাশি দুটো ডানা এবং বাইরের দিকে বের করা তীক্ষ্ণ দাঁত উপস্থিত থাকত। উল্লেখ্য এই ডাইনোসরের জীবাশ্ম প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন আতাকামা ডেজার্ট মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি এন্ড কালচারের অধিকর্তা ওসালদো রোজাস। পরবর্তীতে চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই বিষয়ে এক বৃহত্তর গবেষণার কাজ চালান। চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জোনাথান আ্যলাকর্ণের নেতৃত্বেই এই গবেষণার কার্য সম্পন করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে এই দুই প্রজাতির মধ্যে আত্ম সম্পর্ক থাকতে পারে বলে আশা করছেন বৈজ্ঞানিকরা । এমনকি তারা স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের স্থানান্তর করতে পারে। মূলত উপকূলীয় প্রানী ছিল এই ডাইনোসর গুলি ।আর সেই কারণেই উত্তর দক্ষিণ গোলার্ধের মধ্যে বারবার জায়গা পরিবর্তন করত তারা। অথবা এই অঞ্চলে এসে পরবর্তীতে আর পুরনো স্থানে ফেরত যায়নি এই উড়ুক্কু ডাইনোসররা এমনটাই মনে করছেন গবেষকরা।
ছবি সংগৃহীত
Leave Comments