শীর্ষ টাইমস ডেস্ক: ১৯৪৮ সালে ভারত মহাসাগরের তলদেশে বিজ্ঞানীরা একটি বিশালাকার গর্তের আবিষ্কার করেছিল। যা একটি মাধ্যাকর্ষণজাত গর্ত বা গ্র্যাভিটি হোল। এই গর্তের আকৃতি ভারতের থেকেও বেশি। এরপর এই হোল নিয়ে চলে জোরকদমে গবেষণা। সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি সম্ভাব্য তত্ত্ব প্রকাশ করেছে একদল গবেষক।
এই তত্ত্বটি বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী "বিগ-থিংক" - এর একটি প্রবন্ধে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে , গ্র্যাভিটি হোল কোনও গর্ত নয়। এটি ৩০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত একটি এলাকা। যেখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সাধারণের তুলনায় খানিকটা কম। এখনকার জলের গড় উচ্চতা সমুদ্রের অন্যান্য জায়গার চেয়ে ৩৪৮ ফুট কম। এই এলাকায় রয়েছে অনেক বাতাস।
উৎপত্তি হিসাবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অতিমহাসাগর টেথিসের অংশ থেকে উৎপত্তি হয়েছে এই হোলের। কিন্তু এই গ্র্যাভিটি হোল কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয় তাদের কাছে। এই অংশের নাম দেওয়া হয়েছে "ইন্ডিয়ান ওশান জিয়ড লো"। জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লিটারে তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, ওই হোলের সরাসরি নীচে থাকা কোনও বস্তুর কারণে নিম্নে মাধ্যাকর্ষণ তৈরি হয়নি। গর্তটি কম ঘনত্বের এবং উত্তপ্ত ম্যাগমার কারণে গঠিত। বিজ্ঞানীদের মতে, এই গ্র্যাভিটি হোলের সমস্যা সমাধান করতে হলে হোলের ভিতরে নয় বরং হোলের চারপাশের পরিবেশে নজর দিতে হবে।
ছবি: সংগৃহীত
Leave Comments