শীর্ষ টাইমস ডেস্ক: রামায়ণের সুর্পনখার নাক কাটার গল্পটা তো সবারই জানা। যুদ্ধ বাঁধানোর অনত্যম কারণও কিন্তু তিনি, এমনটাই মনে করা হয়। সুর্পনখা বনবাসকালে রামকে দেখে দিয়ে বসল প্রেম প্রস্তাব। কিন্তু রাম সেই প্রস্তাব মেনে না নিলে, সুর্পনখা লক্ষণের কাছে যায়। কিন্তু লক্ষণও এই প্রস্তাবকে নাকচ করে। এরপর রাগে , অভিমানে সুর্পনখা রামের কাছে এসে সীতার নামে কটূক্তি করে এবং সীতাকে মারতে যায়। ঠিক সেই সময় সীতাকে বাঁচাতে লক্ষণ সুর্পনখার নাক কেটে দেয়। আর তারপর সুর্পনখা কাঁদতে কাঁদতে রাবনের কাছে যায় এরপর যা যা হয় সে ঘটনা আমাদের সকলেরই জানা।
কিন্তু সুর্পনখা গেল কোথায়? যুদ্ধের পর কি হল তার? এ নিয়ে ছড়িয়ে আছে নানা বিতর্ক এমনকি অনেকেই সুর্পনখার ঘটনার সঙ্গে ইসলামকে সংযুক্ত করে। কিভাবে? আসুন জেনে নিই..... বলা হয়, কৃষ্ণের হাতে যখন একের পর এক সুর্পনখার ভাইয়েরা মারা যাচ্ছিল, তখন নিজেকে বাঁচাতে সুর্পনখা দৈত্য গুরু শুক্রাচার্যের কাছে যায় আর সেখানেই বসবাস করা শুরু করে। রাক্ষসদের বংশ বাঁচাতে গুরু শিবের আরাধনা করতে শুরু করেন। ধ্যানে প্রশন্ন হয়ে শিব লিঙ্গ দেন এবং এও বলেন, যদি কখনও কোনও বৈষ্ণবী বা বিষ্ণুর অবতার অথবা যিনি বিষ্ণুকে মানেন এমন কেউ ওই শিব লিঙ্গে গঙ্গাজল দেয়, তাহলে রাক্ষসদের সর্বনাশ হবে। বৈষ্ণবদের থেকে দূরে ওই লিঙ্গকে গুরু শুক্রাচার্য মরুভূমিতে রেখে আসেন। যা আজকের দিনে মক্কা - মদিনা নামে পরিচিত। এই লিঙ্গ রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয় সুর্পনখাকে। পুরাণ মতে সুর্পনখার বংশধর আব্রাহিম ধর্মের অধিকারী। নাক কাটা যাওয়ার পর সুর্পনখা যেভাবে পুরো মুখ ঢেখে থাকত এবং শুধু চোখ দুটি দেখা যেত, মুসলমান মহিলাদের বরখা বা হিজাব পরার ধরণটাও ওরকমই।
এই কথাগুলো শুধুই হাওয়ার কথা নয়, বরং কিছু প্রমাণও রয়েছে। যেমন বৈদিক বিশ্ব রাষ্ট্র নামক বইতে বলা হয়েছে, মুসলমানরা কাবাতে যে পাথরে মাথা ঠেকান সেটি শিবলিঙ্গ। আবার ঐতিহাসিক ভেঙ্কটেশের লেখা বইতেও এই কথার উল্লেখ রয়েছে। আমরা সকলেই জানি শিবলিঙ্গের কাছে জলাশয় থাকে। আবার কাবার কাছেও জলাশয় আছে যার জলকে মুসলমানরা গঙ্গাজলের মত পবিত্র মনে করেন। নাক কাটা যাওয়ার পর সুর্পনখা কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকতেন , মুসলমান মহিলাদের বরখার রং ও কালো, কাবায় জড়ানো কাপড়ের রং ও কালো আবার এই কালো রং রাক্ষসদের প্রতীক। ঈদের সময় যে জুম্মা পালন করে থাকেন মুসলমানরা তা হয় প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার করে যার সাথে শুক্রাচার্যের নামের মিল আছে।
কিন্তু বিষয়টা হল কাবায় একধরনের ফাটল আছে যা কোনোভাবেই ভরাট করা যায় না এবং কিভাবে তা হয়েছে সেটাও কেউ জানে না। মুসলমানদের রীতিনীতির সঙ্গে হিন্দু ধর্মেরও অনেক মিল পাওয়া যায়। আর সবথেকে আশ্চর্য্য বিষয় এই যে, পৃথিবীতে এই মক্কা মদিনা ছাড়া এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে হিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ।
ছবি: সংগৃহীত
Leave Comments