শীর্ষ টাইমস ডেস্ক: আজ পর্যন্ত মানবসভ্যতায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব একেবারে নাজেহাল করেছে মনুষ্য প্রজাতিকে। সেগুলির যদি তালিকা করা হয়, তাহলে অন্যতম উদ্বেগ এইচআইভি সংক্রমণ নিয়ে। এই ভাইরাসের সংক্রমণের কারণেই এইডস আক্রান্ত হতে পারেন কোনও ব্যক্তি। প্রতিদিন এইডসে গড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন সাড়ে ৫ হাজার মানুষ। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এ প্রাণঘাতী রোগে মারা গেছেন।
১৯৮৮ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে প্রতি বছর এইডস দিবস পালন করা হয়। এই দিনটি পালনের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যে সকল ব্যক্তিরা এমনও এই এইডস রোগে আক্রান্ত বা যারা এই কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের মনে রেখেই এই দিনটি পালন করা হয়। এইডস - আদতে একটি ক্রনিক ইমিউন ডিজিজ। অর্থাৎ, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে যায়। এইচআইভি - ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে এই রোগ হয়ে থাকে। যা বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়ার জন্য শরীরের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে একেবারে ধ্বংস করে দেয়।এই রোগ সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতনতা বাড়ানোর পরেও, বিশ্বজুড়ে এখনও এইচআইভি এইডসকে নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই রোগ। এই রোগ প্রসঙ্গে খোলাখুলি কথোপকথন, এবং এর সম্পর্কে ভুল ধারণা বদলাতে এবং আক্রান্তদের জন্য আরও সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলতেই এই বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয়।
সাধারণত আক্রান্ত নারী বা পুরুষের সাথে কোনও প্রকার কনডম ব্যবহার না করে যৌন সম্পর্কে স্থাপন করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত নিলে, এরকম কারো ব্যবহৃত একই সিরিঞ্জ শরীরে প্রবেশ করলেও আপনি এই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হবেন। এগুলোই সবচাইতে বড় কারণ এইডস হওয়ার। এখন অবশ্য বিভিন্ন ওষুধ ও চিকিৎসা দ্বারা এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু আগে তা ছিল না। তাই এইডসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা ছিল প্রচুর। তাই এখনও আজকের দিনে এইডস সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রদান কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।
ছবি: সংগৃহীত
Leave Comments