শীর্ষ টাইমস ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরেই চিনা শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছিল। শ্বাসকষ্ট, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, করোনাভাইরাসের মতো কোনওভাবে তা ভারতে প্রবেশ করবে না তো? একাধিক সাবধানতা অবলম্বন করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু, তার মধ্যেই শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার খবরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এইমস - এর দাবি, ভারতের সাতটি শিশুর শরীরে যে নিউমোনিয়া থাবা বসিয়েছে, তা চিনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়নি। তাঁরা এও জানিয়েছে, চিনা মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়ার সঙ্গে আক্রান্ত সাত শিশুর কোনও সম্পর্ক নেই। তবে নিউমোনিয়া রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ওই সাত শিশুর। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই শিশুদের শরীরে নিউমোনিয়ার ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে।
বিশ্বজুড়ে এই রহস্যময় চিনা নিউমোনিয়া নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তার প্রভাব ভারতেও ছড়িয়ে পড়ছে কি না তা খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে তৈরি গ্লোবাল কনসর্টিয়ামের সদস্য। হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান তথা জয়পুরের এনআইএমএস - এর বর্তমান ডিন ডা. রমা চৌধুরী বলেন, 'এম নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া ঘটিত এই রোগ মৃদু প্রভাব ফেলে শরীরে। এটিকে ওয়াকিং নিউমোনিয়াও বলা হয়। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিস্থিতি গুরুতর হতে পারে। এই নিমোনিয়া দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে অবিলম্বে স্ক্যানিং শুরু করা প্রয়োজন। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা থাকলে, তার জন্য মনিটরিং প্রয়োজন।' সাধারণত শিশুদের মধ্যেই মূলত এই নিউমোনিয়ার প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। ভারতে স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া, হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি এবং রেসপিরেটরি সিনসাইটাল ভাইরাস প্যাথোজেনগুলিতে মূলত বেশিরভাগ শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। বায়ু দূষণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় তাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া থাবা বসানোর প্রবণতা বেড়েছে। দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিক ট্রিটমেন্ট শুরু করা উচিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই রোগ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিও আবশ্যক।
ছবি: সংগৃহীত
Leave Comments