শীর্ষ টাইমস ডেস্ক: হাতে কিছুটা সময় আর ব্যাঙ্কে খানিকটা টাকা জমলেই ভ্রমণপ্রেমীরা ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। রাজ্য, দেশের পাশাপাশি বিদেশ যাওয়ার প্রবণতাও দিন দিন বাড়ছে। বছর খানেক আগে করোনা মহামারীর জেরে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে বিস্তর বাধা পড়ে। যদিও এখন পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। রোগ সংক্রমণের দিক থেকে এখন প্রায় সব দেশই নিরাপদ। কিন্তু পর্যটকদের দৈনন্দিন নিরাপত্তার কী হবে? অস্বীকার করা যায় না যে, এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানকার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি এতটাই অস্থির যে, সেখানে দেশের মানুষই নিরাপদ নন। পর্যটকদের কথা না হয় বাদই দিলাম। সেসব দেশে বেড়াতে যাওয়া যেমন অসুরক্ষিত তেমনই ভীতিকর। তাই বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন সতর্কভাবে। চলুন তাহলে সেই দেশগুলি সম্পর্কে একটু জেনে নিই।
ভেনেজুয়েলা
ভেনেজুয়েলা এমন একটি দেশ যা এখনও অপরাধ এবং অস্থিরতার সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। এই দেশে যাওয়া মানেই প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা। তাই ঝুঁকি এড়াতে ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
ইরাক
সন্ত্রাস ও সংঘাতে সদা জর্জরিত মধ্যপ্রাচ্যের ইরাক। সন্ত্রাসবাদ এবং অপহরণের ক্রমবর্ধমান ঘটনার কারণে ইরাক ভ্রমণ সম্পর্কে পর্যটকদের সতর্ক করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী এবং অসামরিক ব্যক্তিদের উপর আক্রমণ করার জন্য সন্ত্রাবাদীরা সবসময়ই তৈরি থাকে। এখানকার অস্থির পরিস্থিতিই এই দেশের পর্যটনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
হাইতি
হাইতিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উত্তর আমেরিকার এই দেশকে ক্রীতদাসের দেশও বলা হয়। প্রতিনিয়ত অপহরণ এবং অস্থিরতা মোকাবেলা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে এই দেশ। হাইতিতে দারিদ্র্য এতটাই বেড়ে গেছে যে অপহরণ, অপরাধ এবং নাগরিক অস্থিরতার মতো বিষয়গুলি এখানে খুব স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিরিয়া
সিরিয়া এক সময় ছিল বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতার আবাসস্থল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে যুদ্ধের কারণে এখানকার কোনও এলাকাই নিরাপদ নয়। সন্ত্রাস ও অস্থিরতার পরিবেশে এখানে কোনও পর্যটকই নিরাপদ নন।
আফগানিস্তান
অশান্তি এবং সন্ত্রাসবাদের ভূমি আফগানিস্তান আমেরিকান নাগরিকদের জন্য একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক স্থান। এই দেশে আমেরিকানদের উপর আক্রমণ, অপহরণ ইত্যাদির আশঙ্কা অত্যন্ত বেশি। তবুও, অন্যান্য দেশ থেকে আসা পর্যটকদেরও সতর্ক থাকা উচিত।
ছবি: সংগৃহীত
Leave Comments