• India
  • Last Update 11.30 am
  • 29℃ Kolkata, India
news-details
Sports

বাংলাদেশে আর কোনওদিন ফিরবেন না, থাকবেন এই দেশে! সাকিবের বোমা-চিঠিতে হুলুস্থুল পদ্মাপাড়

ad

অবসরের সিদ্ধান্ত তিনি একরকম নিয়েই ফেলেছেন তবে ভরসা পাচ্ছেন না দেশে ফিরতে।
নিরাপত্তা পেলে সাকিব শেষ টেস্ট খেলার জন্য ফিরতে পারেন মিরপুরে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলেই তুলে রাখতে চান বুটজোড়া। তবে কোনও কারণে দেশে সুরক্ষার নিশ্চয়তা না পেলে কানপুরেই খেলবেন কেরিয়ারের শেষ টেস্ট।

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ঘরের মাঠে প্ৰথমবার খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। অক্টোবরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজই সাকিবের কেরিয়ারের অন্তিম স্টেশন হিসাবে বিবেচনার মধ্যে রয়েছে।

কানপুর টেস্টের আগে উপস্থিত সাংবাদিকদের তারকা অলরাউন্ডার বলে দিয়েছেন, "মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলা আমার ইচ্ছা।" হাসিনা সরকারের বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডের সাকিব অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত হয়েছেন।

সাকিব বলছেন, "দেশে যেহেতু এই মুহূর্তে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাই সবকিছু আমার উপর নির্ভরশীল নয়। বিসিবির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। নিজের কেরিয়ারের প্ল্যানিং জানিয়েছি, বিশেষ করে টেস্টে। যা বুঝতে পারছি ভারতে এই সিরিজ আর ঘরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ আমার কেরিয়ারের শেষতম হতে চলেছে। এটাই আমার ভাবনা।"

"ফারুখ ভাই এবং বিসিবির অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদি দেশে ফেরার সুযোগ থাকে, তাহলে মিরপুর আমার শেষ টেস্ট হতে চলেছে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সূত্র মারফত সংবাদ মাধ্যম জানতে পেরেছে, সাকিব ইতিমধ্যেই লিখিতভাবে বর্তমান প্রশাসকদের জানিয়েছেন, দেশে কেবলমাত্র একটি টেস্ট খেলতে চান তিনি। তারপর তিনি আর বাংলাদেশে ফিরবেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে বাকি জীবন কাটাবেন। এমনটাই সাকিবের প্রতিশ্রুতি গিয়েছে লিখিত আকারে।

সাকিব জানাচ্ছেন, "এই বিষয় বোর্ডকে জানিয়েছি। ওঁরাও আমার নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছেন। যাতে আমি শেষ টেস্ট নিরাপদে খেলতে পারি। এবং দেশ ছাড়ার সময় যেন আর কোনও সমস্যা না হয়।"

শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেট থেকেই সাকিব অবসর নিচ্ছেন না। সাকিব আরও জানিয়েছেন, তিনি টি২০ ফরম্যাটেও আর অংশ নেবেন না। এটাই সরে দাঁড়ানোর প্রকৃষ্ট সময়। "টি২০-তেও আমার একই ধরণের চিন্তাভাবনা রয়েছে। যদিও এটা এখানে সম্পর্কিত নয়। নির্বাচক, বোর্ড প্রেসিডেন্ট এবং অন্যান্যদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। আমার মনে হয়েছে এটাই সরে দাঁড়ানোর সেরা সময়। পরের কয়েকটা সিরিজে নতুনদের সুযোগ দেওয়া হোক।"

অবশ্য কামব্যাকের সম্ভবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। বলছেন, "যদি আমি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারি, ফিট থাকতে পারি। এবং আগামী ছয় এবং এক বছরের মধ্যে নির্বাচকরা মনে করেন আমি জাতীয় দলে অবদান রাখতে পারব। তাহলে সেই সময় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই মুহূর্তে নিজেকে টি২০ ফরম্যাটে দেখছি না। তাই দু-ফরম্যাটে আমি শেষ খেলছি বলাই যায়।"

শাকিবের দেশে ফেরার প্রসঙ্গে বিসিবি-র প্রধান শাহরিয়র নাফিস বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে বিসিবি। আমি স্পষ্ট করতে চাই, শাকিবকে কোনও ভাবেই হেনস্থা করা হবে না। আমার মনে হয়, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নিশ্চয়ই শাকিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলাদেশ সরকারের তরফে স্পষ্ট বার্তা হল, যে কেস ফাইল করা হয়েছে, তাতে শাকিবকে কোনও ভাবেই হেনস্থা করা হবে না। বাংলাদেশে হওয়া সিরিজে শাকিবের না খেলার কোনও কারণ আমি অন্তত দেখছি না, যদি না তাঁর চোট আঘাত থাকে।'

You can share this post!

Leave Comments