প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট হিসেবে অলিম্পিক্সে নেমেছিলেন তিনি। তবে একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছিল পদক। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ-এ দেশের জন্য পদক জয় স্বপ্ন হয়েই থেকে গেল তাঁর কাছে। জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসর নিলেন আগরতলার দীপা কর্মকার।
ত্রিপুরার দীপা রিও অলিম্পিক্সে ভল্ট ইভেন্টে চতুর্থ হয়েছিলেন। তার পর থেকে চোটের সমস্যায় জেরবার ছিলেন তিনি। সোমবার নিজেরমিডিয়া হ্যান্ডেলে নিজেই পোস্ট করে সেই কথা জানালেন তিনি। পোস্টে দীপা লিখেছেন, এই সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য মোটেও সহজ ছিল না। অনেক ভাবনার পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তিনি। প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট হিসাবে অলিম্পিক্সে নেমেছিলেন দীপা। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছিল পদক। ৩১ বছরের দীপাই ছিলেন দেশের হয়ে প্রথম অলিম্পিক্স জিমন্যাস্ট। রিও অলিম্পিক্সে ভল্ট ইভেন্টে চতুর্থ হয়েছিলেন এই বাঙালি জিমন্যাস্ট। তাঁর প্রোদুনোভা ভল্ট সে সময় নজর কেড়েছিল। তবে তিনি এবছর প্যারিস অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। সোশাল মিডিয়ায় অসবরের ঘোষণা করেন এই তারকা জিমন্যাস্ট।
৩১ বছর বয়সেই জিমনাস্টিক থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। রিও অলিম্পিক্সে পোল ভল্টেও সেবার নজর কেড়েছিলেন দীপা। সিমোনে বাইলসদের প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ কয়েক বছর ধরেই ডান পায়ের এসিএলে চোট ভোগাচ্ছে তাঁকে।
দুবার পায়ে অস্ত্রোপচারও হয়েছে। মনের জোরে চালিয়ে যাচ্ছিলেন খেলা। চলতি বছরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ভারতীয় জিমনাস্ট হিসেবে জিতেছিলেন সোনার পদক। তবে আর যেন শরীর চলছিল না!
হাঁটুর ওপর অতিরিক্ত চাপ দিলেই নতুন করে চোটের জায়গায় ব্যথা শুরু হচ্ছিল তাঁর। কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন দীপা। একটা সময় প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও প্রোদুনোভা ভল্ট দিয়ে ক্রীড়াবিশ্বে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন দীপা।
মিডিয়া হ্যান্ডেলে নিজেই পোস্ট করে সেই কথা জানালেন তিনি। পোস্টে দীপা লিখেছেন, এই সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য মোটেও সহজ ছিল না। অনেক ভাবনার পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তিনি। প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট হিসাবে অলিম্পিক্সে নেমেছিলেন দীপা। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছিল পদক। ৩১ বছরের দীপাই ছিলেন দেশের হয়ে প্রথম অলিম্পিক্স জিমন্যাস্ট। রিও অলিম্পিক্সে ভল্ট ইভেন্টে চতুর্থ হয়েছিলেন এই বাঙালি জিমন্যাস্ট। তাঁর প্রোদুনোভা ভল্ট সে সময় নজর কেড়েছিল। তবে তিনি এবছর প্যারিস অলিম্পিকসে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি।
দীপা এদিন তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘অনেক ভাবনার পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, যে জিমন্যাস্ট থেকে অবসর নেব। এটা আমার জন্য মোটেও সহজ কাজ ছিল না। তবে এটাই সঠিক সময়। জিমন্যাস্ট আমার জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল। কখনও সফল হয়েছি, আবার কখনও ব্যর্থও হয়েছি। প্রত্যেকটা মুহূর্তের জন্য আমি কৃতজ্ঞ’। অবসরের মুহূর্তে দীপা তাঁর ছেলেবেলার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি লেখেন, ‘আমার সেই ৫ বছরের দীপার কথা মনে পড়ছে, যাকে বলা হয়েছিল পায়ের পাতা সমান হওয়ার জন্য তুমি কোনও দিন জিমন্যাস্ট হতে পারবে না। আজ আমার সাফল্যকে নিয়ে গর্ব অনুভব হয়। বিশ্ব মঞ্চে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা এবং মেডেল জয় করতে পারাটা এবং বিশেষ করে ২০১৬ সালের রিয়ো অলিম্পিক্সে প্রোদুনোভা ভল্ট মারতে পারা আমার জিমন্যাস্ট জীবনের সবচেয়ে স্বরণীয় ঘটনা। আজ আমার সেই দীপাকে দেখে খুব আনন্দ হয়, কারণ সে স্বপ্ন দেখার সাহস রেখেছিল’।
৩১ বছর বয়সেই জিমনাস্টিক থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। রিও অলিম্পিক্সে পোল ভল্টেও সেবার নজর কেড়েছিলেন দীপা। সিমোনে বাইলসদের প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ কয়েক বছর ধরেই ডান পায়ের এসিএলে চোট ভোগাচ্ছে তাঁকে।
দুবার পায়ে অস্ত্রোপচারও হয়েছে। মনের জোরে চালিয়ে যাচ্ছিলেন খেলা। চলতি বছরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ভারতীয় জিমনাস্ট হিসেবে জিতেছিলেন সোনার পদক। তবে আর যেন শরীর চলছিল না!
হাঁটুর ওপর অতিরিক্ত চাপ দিলেই নতুন করে চোটের জায়গায় ব্যথা শুরু হচ্ছিল তাঁর। কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন দীপা। একটা সময় প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও প্রোদুনোভা ভল্ট দিয়ে ক্রীড়াবিশ্বে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন দীপা।
২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকের ভল্ট ইভেন্টের ফাইনালে ওঠেন দীপা। তাঁকে চতুর্থ হয়েই থামতে হয়। মাত্র ০.১৫ পয়েন্টের জন্য হাতছাড়া হয় ব্রোঞ্জ পদক। তবে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে অবশ্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি তিনি। রিও অলিম্পিক্সের পর চোটের জন্য একাধিক প্রতিযোগিতায় নামতে পারেননি দীপা। ২০২২ সালে ডোপিং আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে দুবছরের জন্য নির্বাসিত হন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের পর আর বড় কোনও প্রতিযোগিতায় দেখা যায়নি তাঁকে।
Leave Comments