পিছিয়ে গেল আনোয়ার আলির মামলার শুনানি। এর ফলে শনিবারের বড় ম্যাচ খেলতে বাধা রইল না ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার আনোয়ার আলির। স্থগিত রাখা হল সোমবারের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির শুনানি। অক্টোবরের ২২ অথবা ২৩ তারিখ হতে পারে আনোয়ার আলির মামলার শুনানি। ফলে শনিবারের ডার্বি খেলতে মাঠে নামতে পারবেন মোহনবাগানের প্রাক্তন তারকা।পিছিয়ে গেল আনোয়ার আলির মামলার শুনানি। এর ফলে শনিবারের বড় ম্যাচ খেলতে বাধা রইল না ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার আনোয়ার আলির। স্থগিত রাখা হল সোমবারের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির শুনানি। অক্টোবরের ২২ অথবা ২৩ তারিখ হতে পারে আনোয়ার আলির মামলার শুনানি। ফলে শনিবারের ডার্বি খেলতে মাঠে নামতে পারবেন মোহনবাগানের প্রাক্তন তারকা।
তবে গোটা ঘটনায় পিএসসি এবং সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত মাসেই ইস্টবেঙ্গলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পিএসসি জানিয়েছিল ১৪ অক্টোবরই চূড়ান্ত শুনানি হবে। আনোয়ারের আইনজীবীও তা জানতেন। এ দিন তিনি উপস্থিত না হওয়ায় কেন নরম মনোভাব দেখিয়ে শুনানি পিছনো হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নিয়ম ভাঙায় আনোয়ার যে নির্বাসিত হবেন তা এক প্রকার নিশ্চিত। তবে এর পরে ইস্টবেঙ্গলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আসতে চলেছে। নির্বাসনের কারণে সেই ম্যাচগুলিতে আনোয়ারকে না পাওয়া গেলে ক্ষতি ইস্টবেঙ্গলেরই হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর আনোয়ার ইস্যুতে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তার তিন দিন আগেই ইস্টবেঙ্গলের আইনজীবী চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ৮ অক্টোবর তাঁর শিরদাঁড়ায় অস্ত্রোপচার করানো হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁর পক্ষে দীর্ঘ সময় বসে থাকা সম্ভব নয়। সেই কারণে অস্ত্রোপচারের অন্তত চার সপ্তাহ পর শুনানির আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটি তাঁর অস্ত্রোপচারের ছ’দিন পর শুনানি হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল।
পিএসসি জানিয়েছিল, ১৪ অক্টোবর শুনানি হবে। সেই শুনানিতে সব পক্ষকে উপস্থিত থাকতে হবে। সেই সঙ্গে বলে দেওয়া হয়েছিল, আর সময় বৃদ্ধি করা হবে না। যদি কোনও পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত থাকতে না পারেন, তা হলে তাদের বিকল্প ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও দেখা গেল ইস্টবেঙ্গলের আইনজীবী না থাকাতেই শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এটাই মরশুমের প্রথম ডার্বি। মোহনবাগান থেকে ইস্টবেঙ্গলে আসা আনোয়ার আলিকে নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এদিকে আনোয়ার এখনও লাল হলুদ জার্সিতে প্রত্যেকের আশা পূরণ করতে পারেননি। আনোয়ার আলির কাছেও তাই এই ডার্বিটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। লাল-হলুদ ডিফেন্সকে তিনি যদি নেতৃত্ব দিতে পারেন, চাপ অনেকটাই কমে যাবে ইস্টবেঙ্গলের। আনোয়ার ভালো খেললে ডার্বির মতো উত্তেজক ম্যাচে অনেক খোলা মনে খেলতে পারবে ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ। আনোয়ার চান ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম ডার্বিতে যেন জয়ের স্বাদ দিতে। লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে চান আনোয়ার। টানা চার ম্যাচ হেরে এমনিতেই ব্যাকফুটে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এখন দেখার আলোয়ার কী করেন?
Leave Comments