রবিবার কলকাতার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছিল কেরল। খেলার শুরু থেকেই উত্তেজনা দেখা যায়। প্রথমার্ধে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মির্যালোল পেনাল্টি পেয়ে গোল করে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন। কলকাতার তৃতীয় প্রধানের হয়ে গোলটি করেছিলেন মির্জালোল কাসিমোভ। ২৮ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কেরলের গোলরক্ষক সোম কুমার টেনে আটকান ফ্র্যাঙ্কাকে। তাতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় মহমেডান। গোল করতে ভুল করেননি কাসিমোভ। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল মহমেডান। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সেই গোল ধরে রাখতে পারল না তারা। ৭৫ মিনিটে কেরলের হয়ে গোল করেন জেসুস জিমিনেজ। হেডে গোল করেন তিনি। তার পরেই শুরু হয় গণ্ডগোল। মহমেডান সমর্থকেরা মাঠে বোতল ছুড়তে শুরু করেন। যে কারণে কিছু ক্ষণ খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন রেফারি। প্রায় ৮ মিনিট খেলা বন্ধ রাখার পর ম্যাচ শুরু করেন তিনি। অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া হয়েছিল। যদিও মহমেডান গোল করতে পারেনি।
৮০ মিনিটের মাথায় রেফারির এক সিদ্ধান্তকে ঘিরে মাঠে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মহামেডানের সমর্থকরা রেফারির সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন এবং মাঠের মধ্যে বোতল, জুতো ইত্যাদি ছুড়ে ফেলা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে কেরল তাদের দল মাঠ থেকে সরিয়ে নেয়, যার ফলে সাময়িক সময়ের জন্য খেলা বন্ধ থাকে।
৬৭ মিনিটে প্রথম গোল হজম করে মহমেডান। নোহা সাদোই বক্সের মধ্যে বল পাঠান। সেই বল ধরে গোল করতে ভুল করেননি কোয়ামে পেপরাহ। মহমেডান রক্ষণ তখন নড়বড় করতে শুরু করেছে। ৭১ মিনিটে মাথায় গোল করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন নোহা নিজেই। কিন্তু মরক্কোর ফুটবলার বলটি জালে জড়াতে পারেননি। তবে জয়ের গোল পেতে মহমেডানকে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি।
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে খেলা পুনরায় শুরু হলে কেরলের ঘানার খেলোয়াড় কাওমে পেপ্রাহ খেলার শেষের দিকে জয়সূচক গোলটি করেন। এই গোলের ফলে কেরল ২-১ গোলে মহামেডানকে পরাজিত করে। খেলার উত্তেজনা ও মহামেডান সমর্থকদের প্রতিবাদের কারণে পরিস্থিতি কিছুটা বিগড়ে গেলেও, শেষ পর্যন্ত খেলা শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পন্ন হয়।
পাঁচ ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় এগারো নম্বরে মহমেডান। ম্যাচের শেষ দিকে গোল খাওয়ার রোগ সারেনি তাঁদের। আগেও শেষ দিকে গোল খেয়ে ম্যাচ হারতে হয়েছে মহমেডানকে। যে হার সমর্থকেরা মেনে নিতে পারেননি। তাঁদের দাবি মোহামেডান ক্লাবকে একটি ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করেন রেফারি অশ্বিন। কেরল পাঁচ ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে। আর মোহামেডান ৫ ম্যাচে ৪ নিয়ে থেকে থেকে গেলো লীগ টেবিলের ১১ নম্বরে।
Leave Comments