প্রতিবেদনে - রাহুল সাহা : শীর্ষ টাইম ডেক্স: সম্মানহানির অভিযোগে ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ২৩ কোটির মানহানির মামলা করেছেন দুশোরও বেশি পরিচালক। এমনই খবর জানা গিয়েছে। টলিউডে ৬০ শতাংশ যৌন হেনস্তার অভিযোগ পরিচালক-প্রযোজকের বিরুদ্ধে, ফেডারেশন সভাপতির এমন মন্তব্যের জেরেই এই মামলা বলে খবর।
টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে তৎপর হয় ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (FCTWEI)। যৌন হেনস্তা এবং অশালীন-অনৈতিক আচরণের ঘটনা রুখতে, অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকুশলীদের রক্ষাকবচ হিসেবে ‘সুরক্ষা বন্ধু’ কমিটি তৈরি করা হয়। এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েই স্বরূপ বিশ্বাস বলেছিলেন, “অভিযোগকে যদি শতাংশে আনা হয়। তাহলে বলব, ৪০ শতাংশ যৌন হেনস্তার অভিযোগ এসেছে প্রযোজকদের বিরুদ্ধে। আর ৬০ শতাংশ অভিযোগ রয়েছে পরিচালক এবং পরিচালক থেকে প্রযোজক হয়েছে এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে।”
ফে়ডারেশন সভাপতির এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এর আগে এই প্রেক্ষিতেই আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছিল। এবার খবর, ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতির বিরুদ্ধে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-সহ ২৩৩ জন পরিচালক ২৩ কোটির মানহানির মামলা দায়ের করেছেন।
মামলাটি কোনও সংগঠনের পক্ষ থেকে নয় বরং পরিচালকরা একজোট হয়ে ব্যক্তিগত স্তরেই করেছেন, সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একথাই জানিয়েছেন পরিচালক তথা ডিরেক্টর্স গিল্ডের সভাপতি সুব্রত সেন। এর আগে বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, “যৌন হেনস্তার মতো ঘৃণ্য অপরাধ, সেটা যে বিভাগের যেই করুক না কেন, সেটা টেকনিশিয়ানদের মধ্যে কেউ হোক, অভিনেতাদের মধ্যে কেউ হোক, পরিচালক-প্রযোজকদের মধ্যে কেউ হোক অথবা সঙ্গীত পরিচালক থেকে এগজিবিটর যেই হোক না কেন তাকে আড়াল না করে সামনে আনা হোক। তার উপযুক্ত ব্যবস্থা অবশ্যই কাম্য। কিন্তু সেটার জন্য আপনি হঠাৎ করে একটি গোষ্ঠীকে যাঁরা তাঁদের কাজের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রির নাম উজ্জ্বল করেন, তাঁদের অপমান করছেন কী করে?”
Leave Comments