প্রতিবেদনে - রাহুল সাহা : শীর্ষ টাইম ডেক্স: মহীরুহের মতো সামলেছিলেন টাটার সাম্রাজ্য। শুধু শিল্পমহলে নয়, সবার কাছেই প্রিয় রতন টাটা (Ratan Tata)। একজন ‘ট্রু জেন্টলম্যান।’ এমন মানুষ ধার চেয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চনের কাছে! কী হয়েছিল? সেই কথা সম্প্রতি জানালেন ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ শোয়ে।
দিন কয়েক ধরে অসুস্থ ছিলেন। গত ৯ অক্টোবর মুম্বইয়ের ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রতন টাটা। শিল্প জগতের কিংবদন্তির প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত বড় একজন ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও রতন টাটা কতটা সাধারণ জীবনযাপন করতেন সেই কথাই কেবিসিতে জানান বিগ বি।
‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র এই এপিসোডে অতিথি হয়ে এসেছিলেন ফারহা খান ও বোমন ইরানি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই অমিতাভ (Amitabh Bachchan) জানান, একবার লন্ডনে যাচ্ছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে তাঁর সঙ্গে একই বিমানে রতন টাটাও লন্ডনে যাচ্ছিলেন। হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর টাটা দেখেন, তাঁকে যে গাড়ি নিতে আসার কথা ছিল তা আসেনি।
ব্যাপার কী? তা জানতে ফোন করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ফোন করার মতো অর্থ তখন টাটা সাম্রাজ্যের অধিপতির কাছে ছিল না। তখনই তিনি ফোন করার জন্য অমিতাভের কাছে কিছু অর্থ চান। বিষয়টি জানিয়েই ফারহা-বোমনকে অমিতাভ বলেন, “আমি ভাবতেই পারিনি উনি এটা বলবেন।” অমিতাভ জানান, রতন টাটার মতো মানুষ সচারচর হয় না। সত্যিই তিনি একজন জেন্টলম্যান ছিলেন। কী সাধারণ জীবনযাপন করতেন।
১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে পার্সি পরিবারে জন্ম রতন টাটার। ১০ বছর বয়সে মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। নিজের এক ভাই রয়েছেন, জিমি টাটা। সৎভাইও আছে। বিদেশে স্নাতকত্তোর পাসের পর সাতের দশকে টাটা গ্রুপে ম্যানেজার স্তরের দায়িত্ব পান রতন টাটা। ১৯৯১ সালে জেআরডি টাটা টাটা সন্সের দায়িত্ব ছাড়েন। রতন টাটাকে নিজের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন। প্রথমে তাঁকে নিয়ে সংস্থার অন্দরে আপত্তি ছিল কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা মুছে যায়। ২১ বছর রতন টাটার হাতে টাটা গ্রুপের দায়িত্ব ছিল। সেই সময় আয় ও লাভ দুই-ই ৪০ থেকে ৫০ গুণ বৃদ্ধি পায়। ২০০০ সালে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মান পান রতন টাটা। ২০০৮ সালে ‘পদ্ম বিভূষণ সম্মান’। এছাড়া দেশ-বিদেশের অজস্র সম্মান এসেছে তাঁর ঝুলিতে।
Leave Comments