প্রতিবেদনে - রাহুল সাহা : শীর্ষ টাইম ডেক্স: প্রায় দেড় দশক এই ড্রেসিংরুমের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন তিনি। সেই ড্রেসিংরুমকে বিদায় জানাতে গিয়ে চোখ ভিজে আসবে, সেটাই স্বাভাবিক। যতই তিনি রবিচন্দ্রন অশ্বিন হোন, যতই তিনি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তি নিয়ে বাঁচুন না কেন, সাজঘর ছাড়ার আগে আবেগি বার্তা শোনা গেল তাঁর মুখেও। মনে করালেন, কীভাবে রাহুল দ্রাবিড়-শচীন তেণ্ডুলকররা ছেড়ে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় দল।
মেলবোর্ন টেস্টে আর ভারতীয় ড্রেসিংরুমে থাকবেন না অশ্বিন। ব্রিসবেন থেকে সোজা ভারতে ফিরবেন তিনি। ড্রেসিংরুমকে বিদায় জানানোর আগে সতীর্থদের শেষ বার্তার একটি ভিডিও বিসিসিআই শেয়ার করেছে। তাতে অশ্বিনকে বলতে শোনা গেল, “কীভাবে শুরু করব বুঝতে পারছি না। এর চেয়ে টিম হাডলে কথা বলা অনেক সহজ। এটা সত্যিই আমার জন্য বড্ড আবেগের মুহূর্ত।” নিজের প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরের স্মৃতি হাতড়ে ভারতীয় ক্রিকেটের ‘আন্না’ বললেন, “২০১১-১২ সালের আমার প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরের মতো মনে হচ্ছে। রাহুল ভাই অবসর নিলেন, শচীন পাজিও ছিলেন না। আমি সবার পরিবর্তন দেখেছি। আসলে সবারই একটা সময় এসে সময় শেষ হয়। আজ আমার সময় শেষ হল।”
অশ্বিন বলে চলেন, “অনেক ভালো সতীর্থদের ছেড়ে যাচ্ছি। প্রতিটা বছর, বিশেষ করে গত কয়েক বছরে আমি বুঝতে পেরেছি, এঁদের সঙ্গে সম্পর্কটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্ধুত্বগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেটার হিসাবে প্রত্যেককে আমি কতটা গুরুত্ব দিই।” অশ্বিন জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় দলের ক্রিকেটার বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসাবে হয়তো তাঁর সময় শেষ হয়েছে, কিন্তু এখনও ক্রিকেটের পোকাটা তাঁর মধ্যে থেকেই যাবে।
ড্রেসিংরুম ছাড়ার আগে তাই তিনি বলছিলেন, “আমি এবার বাড়ি ফেরার বিমান ধরব। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে নজর রাখবে মেলবোর্নে তোমরা কতটা ভালো লড়াই করছ। আমার মধ্যেকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বা ভারতীয় দলের ক্রিকেটার হয়তো শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু ক্রিকেটের পোকাটা কোনওদিন শেষ হবে না।”
Leave Comments