শীর্ষ টাইমস ডেস্ক : শুধুমাত্র বাংলা সাহিত্যে না বিদেশের সাহিত্যেও দেখা পাওয়া যায় ভূতের। কিন্তু কেনো এরকম মিল ? এই বিষয়েই গবেষণা শুরু করছে এবার সেই কাজ শুরু করল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হয় ভূতের গল্পের সেমিনার। সেই সেমিনারে আলোচিত হয়েছে ব্রিটিশ ও আমেরিকার ভূত-সাহিত্য। এই ক্ষেত্রে তারা বেছে নিয়েছে ১৭০০ সাল থেকে ১৯৬০ সাল।
২৬০ বছরের এই ভূত সমগ্র নিয়ে কর্মশালায় যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক পড়ুয়াদের সঙ্গে মার্কিন ও ব্রিটিশ লেখকরাও। এই চর্চার দ্বিতীয় পর্যায়ে বিদেশি গল্পের সঙ্গে বাংলা গল্পের তুলনামূলক বিচার-বিশ্লেষণের ভাবনা-চিন্তাও শুরু করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক জানিয়েছেন , প্রথমে ইংল্যান্ড ও পরে আমেরিকায় প্রদত্ত সময়ের সেরা ভূতের গল্প নির্বাচন করে তা নিয়ে চর্চা করা হবে । তারপর তা বাংলায় অনুবাদ করে বই প্রকাশ করা হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলা সাহিত্যিক তথা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রেমেন্দ্র মিত্র, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রমুখ ভারতীয় সাহিত্যিকদের লেখার সঙ্গে বিদেশি ভুতুড়ে সাহিত্যকে মিলিয়ে দেখবে গবেষকরা। এই গবেষণার মাধ্যমে, সেই সময়ের গল্পের চরিত্রে, সমসাময়িক সমাজের বর্ণনা বোঝা যাবে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তারা ৪০ টি গল্প বেছে অনুবাদের কাজ আরম্ভ করে দিয়েছে। ভারতবর্ষে প্রথম কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এই রকম গবেষণা করেনি। গবেষণার ফলাফল তাক লাগিয়ে দিতে চলেছে গোটা বিশ্ববাসীকে।
ছবি : সংগৃহীত
Leave Comments