শীর্ষ টাইমস ডেস্ক: উত্তুরে হাওয়া আজকাল বেশ অনুভূত হচ্ছে। শীত পড়তে না পড়তেই যে সমস্যাটা ত্বক ফাঁটার সঙ্গে প্রকট হয় তাহল, ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়া। অনেকের ঠোঁটে এই কালোভাব সারাবছরই থাকে। সেক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া এবং আধুনিক পদ্ধতির খোঁজ রইলো আপনাদের জন্য, যাতে আপনি আপনার ঠোঁটের কালো ভাব নিমেষের মধ্যেই সরিয়ে ফেলতে পারবেন।
লেবু: পাতিলেবু বা কমলালেবু ঠোঁটে ঘষলে স্ক্রাবারের কাজ করে। যা ডেড স্কিন তুলে নতুন স্কিন এনে ঠোঁটকে গোলাপী ও কোমল করে তোলে
মধু: ত্বকের হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে মধুর কোনও জবাব নেই। ঠোঁটের ত্বকও এর ব্যতিক্রম নয়। কেবল কালচে ভাব দূর করতেই নয় ঠোঁটের কোমলতা বজায় রাখতেও মধু ভীষণ উপকারী। ঘুমোনোর আগে সামান্য মধু ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিন সারা রাত। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঠোঁটের রঙে পার্থক্য চোখে পড়বে।
কাঁচা হলুদ: হলুদের উপকারিতা শরীরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। কাঁচা দুধ আর কাঁচা হলুদের পেস্ট করে ঠোঁটে প্যাকের মত ব্যবহার করলেও অনেকটা লাভ হতে পারে।
শশা: নারকেল তেল, অলিভ অয়েল মিশিয়ে তাতে শশার রস দিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে ঠোঁটে লাগলেও উপকার পেতে পারেন।
চিনি: প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে চিনির কার্যকারিতাও কম নয়। চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি মরা চামড়াও দূর হয়। ২ চামচ চিনি ও ৩ চামচ মাখন একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সপ্তাহে বার দুয়েক এই পেস্ট দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করুন।
ঘরোয়া পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ, ডাক্তারি ওষুধে চটজলদিও মুক্তি পেতে পারেন। যেমন আপনি ভিটামিন ই যুক্ত লিপবাম অথবা এস.পি. এফ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন তাতে ঠোঁট শুকিয়ে যায় না এবং ধীরে ধীরে নিজের জেল্লা ফিরে পায়। লিপস্টিক রিমুভ করার জন্য অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন এবং ঘুমানোর সময় লিপ লাইটনিং ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও ৮% এল - অ্যাসকরবিক বা ১% সেরামাইড কমপ্লেক্স যুক্ত যেকোনো ক্রিম বা লিপ বাম ঠোঁটে এপ্লাই করতে পারেন। এইসব প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে অবশ্যই আপনি ডার্মাটোলজিস্ট কনসাল্ট করে নেবেন নাহলে এগুলোর সাইড এফেক্ট হতে পারে।
ছবি: সংগৃহীত
Leave Comments