দেবযানী দত্ত : আমাদের চারিদিকে অনেক ধরণের মানুষ থাকেন। সবাই তো আর একরকম নন। কেউ রাগী কিন্ত বোকা, কেউ খুব কম কথা বলেন কিন্ত ভীষণ চালাক, কেউ একবার ধমক দিলেই ভয়ে গুটিয়ে যান, কেউ বা মানুষের চোখে চোখ রেখে এমনিভাবে কথা বলেন যে সামনের জন প্রায় হিপনোটাইজ হয়ে পড়েন। এ সবই মানুষের ব্যক্তিত্বকে বর্ণনা করে। মানুষ কিছুটা জেনেটিকালি, কিছুটা চারপাশের যে পরিবেশে বড় হয়ে ওঠে সেখান থেকে লব্ধ করে ব্যক্তিত্বের প্রথম পাঠ। এর সাথে যোগ হয় তাঁর নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা। তবে অনেক মনোবিদ এবং সমাজবিদ মনে করে থাকেন ব্যক্তিত্ব গ্ৰুম করা সম্ভব। অর্থাৎ সেটার মাজাঘষা সম্ভব।
কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা শুধুমাত্র কথা বলার ধরণ এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে সামনের জনকে ম্যানিপুলেট করতে পারেন অর্থাৎ নিজের ইচ্ছাঅনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। যদি আপনিও আপনার ব্যক্তিত্ব-তে এমন বৈশিষ্টগুলি যোগ করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্যই।
সামনের ব্যক্তি যদি আপনার ওপরে রেগে যায়, সে যা বলতে চাইছে তাকে বলতে দিন। যদি সে চেঁচিয়ে কথা বলেও আপনি উত্তেজিত হবেন না। একটা সময় অব্দি চেঁচিয়ে সেই মানুষটি আপনাআপনিই শান্ত হয়ে যাবেন। তখন ধীরে সুস্থে আপনার বক্তব্য তাঁর সামনে পেশ করুন। তিনি শুনতে বাধ্য হবেন।
সামনের ব্যক্তি যদি আপনাকে নিয়ে মজা করেন বা বুলি করেন আপনিও তাঁর এই মজাগুলোয় হাসুন, যেন আপনি উপভোগ করছেন। তিনি স্বাভাবিকভাবেই এতে দমে যাবেন।
ভুল মানুষমাত্রেই হয়ে থাকে। যদি আপনি কোনও ভুল করে থাকেন কারোর প্রতি, তিনি বলার আগেই আপনি তাঁকে বলুন আপনি দুঃখিত। তিনি আর রেগে থাকবেন না।
ভরা সভায় মাইকের সামনে কিছু বক্তব্য রাখতে অনেকেই ভয় পান। বললেও দৃষ্টি আকর্ষণ করাটা মুশকিল হয়। সেক্ষেত্রে মাইকের সামনে কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে অডিয়েন্সের দিকে তাকিয়ে থাকুন। মাইক ফেলে দেওয়ার ভান করুন দরকারে, অথবা এমন কোনও ভঙ্গি করুন যাতে মনে হয় খুব ইন্টারেস্টিং কিছু দেখে ফেলেছেন আপনি অডিয়েন্সের কারোর মধ্যে। লোকজন দেখবেই, এবং চুপ করে যাবে।
অনেক সময়ে আমরা অনিচ্ছার কোনও বিষয়ে ঢুকে পড়ি কথা বলতে বলতে। কিন্ত সামনের মানুষটি তখন জেদ ধরে যে তাঁকে সেই বিষয়টি নিয়েই কথা চালাতে হবে। সবথেকে ভালো এমন সময়ে সেই ব্যক্তির ব্যক্তিগত ব্যাপারে প্রশ্ন করতে থাকুন। নিজের ব্যাপারে প্রশ্নে সে পুরোপুরি ঐ দিকেই ফোকাসড হয়ে পড়বে।
ছবি :সংগৃহীত।
Leave Comments