• India
  • Last Update 11.30 am
  • 29℃ Kolkata, India
news-details
Sports

ইতিহাস যেন বারবার ফিরে ফিরে আসে ! ২০ বছর আগের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখল গোটা বিশ্ব

ad

শীর্ষ টাইমস ডেস্ক: রবিবার গুজরাতের আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ২০ বছর আগের সেই রাতের স্মৃতিই ভারতবাসীকে ফিরিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের দুরমুশ করে ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ জিতে নিলেন তাঁরা। সুযোগ এসেছিল ১২ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের। সুযোগ এসেছিল ২০ বছর আগের সেই দুঃস্বপ্নের রাতের প্রতিশোধ নেওয়ার। কত রোমাঞ্চ, কত আবেগ-উৎকণ্ঠা ছিল এই ম্যাচকে ঘিরে। কিন্তু এ বারও সেই স্বপ্নভঙ্গ!

টস জিতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কারণ ২০০৩ সালেও সৌরভ গাঙ্গুলী টস জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ঠিক যে ভাবে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে টসে জিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ সকলকে ভুল প্রমাণিত করলেন কামিন্স, মিচেল স্টার্কেরা।২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ঠিক যা ঘটেছিল, ২০ বছর ব্যবধানে সেই দৃশ্য ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। ২০০৩ সালে ১০টি ম্যাচে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। এ বার ভারতও ১০টি ম্যাচে অপরাজিত থেকে ‘ফেভারিট’ হিসাবেই ফাইনালে উঠেছিল। সেই যাত্রা শুরুও হয়েছিল আবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে। কিন্তু ফলাফলে তার প্রতিফলন দেখা গেল না। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ২৪০ রান তোলে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার সামনে তারা ২৪১ রানের লক্ষ্য রাখে। বিশ্বকাপে এই প্রথম বার অল আউট হল ভারতীয় দল। তাড়া করতে নেমে মাত্র চার উইকেট হারিয়ে ৪৩ ওভারের মধ্যেই সেই রান তুলে নেন অজ়িরা।ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং— সব ক্ষেত্রেই ক্যাঙারু বাহিনীর কাছে হার মানল রাহুল দ্রাবিড়ের বাহিনী। ট্রেভিস হেডের শতরানে ভর করে অস্ট্রেলিয়া জিতল ৬ উইকেটে।

এই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকে রোহিত যে ভাবে খেলে এসেছেন, ফাইনালে শুরুতা তেমনই ছিল। নেমেই দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন ভারতের অধিনায়ক। কিন্তু আবারও বড় শট খেলতে গিয়েই আউট হন। ৩১ বলে ৪৭ রান করে ফিরতে হয় ডানহাতি ব্যাটারকে। রোহিতের ঝুলিতে চারটি চার এবং তিনটি ছয় ছিল। মাঠে অনেক ক্ষণ টিকে থেকে ভারতকে সম্মানজনক রানে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন রাহুল। বিরাট আউট হওয়ার পর তাঁকে ঘিরে যাবতীয় ভরসা ছিল ভারতবাসীর মনে। রাহুল খেলছিলেনও ধরে ধরে। কিন্তু ১০৭ বলে মাত্র ৬৬ রান করেই আউট হন তিনি। ব্যাটারেরা ফাইনালে সে ভাবে নজর কাড়তে ব্যর্থ হওয়ায় বোলারদের উপরেই ভরসা ছিল। গোটা প্রতিযোগিতায় যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিরা যে দাপট দেখিয়েছিলেন, তা কার্যত উধাও হয়ে গেল ফাইনালে। শামি ছ’ম্যাচে ২৩টি উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু ফাইনালে প্রথম ওভার থেকেই তাঁর লাইন, লেংথ ঘেঁটে গেল। নতুন বলে বল করছিলেন তিনি। একটি উইকেট নিলেও শামি চাপ তৈরি করতে পারছিলেন না। সাত ওভারে ৪৭ রান দিয়েছেন তিনি।

 

ছবি: সংগৃহীত 

You can share this post!

Leave Comments