• India
  • Last Update 11.30 am
  • 29℃ Kolkata, India
news-details
Helth

এইচআইভি - এর থেকেও বেশি হারে বাড়ছে সিফিলিস, যায় কোনও চিকিৎসাও নেই! কি এই সিফিলিস?

ad

শীর্ষ টাইমস ডেস্ক: বর্তমান প্রজন্মের খুব কম সংখ্যক মানুষ এই রোগের নাম শুনেছে। তুলনায় এইডস, থ্যালাসেমিয়া, পোলিও কিংবা এই আমলের করোনা। এসব নিয়ে সচেতনতা শিবির, প্রচার কিংবা প্রতিরোধের চেষ্টা চলেছে বিশ্বজুড়ে। কিন্তু সিফিলিস নামটির সঙ্গে আজকের প্রজন্মের বিশেষ পরিচিতি নেই। এই রোগ আগে হত অবাধ ও অসুরক্ষিত যৌনমিলনের ফলে। কিন্তু আগে অসুরক্ষিত যৌনমিলন সাধারণ ব্যাপার ছিল। সেই তুলনায় এখন অনেকটাই সচেতনতা বেড়েছে। এটি বিশ্বের প্রাচীনতম রোগ। আগে মনে করা হত এই রোগের আর হয়তো কোনও অস্তিত্ব নেই। কিন্তু ইদানিং করে আবার মাথা চাড়া দিয়েছে সিফিলিস। 

চলতি বছরের এপ্রিলে যৌন সংক্রমণজনিত রোগের একটি তথ্য প্রকাশ্যে আনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর। সেখানে বলা হয়েছে, গত তিন বছরের মধ্যে ২০২০ ও ২০২১-এ সিফিলিসের সংক্রমণ মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুই বছরে যৌন রোগটিতে আক্রান্তের পরিমাণ বেড়েছে ৩২ শতাংশ। যা গত ৭০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২২-এ সংক্রমণ সেভাবে না বাড়লেও কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। এই তথ্য প্রকাশ্যে আনার পাশাপাশি সতর্কবার্তাও দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসক ও গবেষকরা। তারা বলেছেন, সিফিলিস এমন একটি যৌনরোগ যার কোন চিকিৎসা নেই। শুধু তাই নয়, মানব দেহে সিফিলিসের অ্যান্টিবডি তৈরি করা খুবই কঠিন। সেই কারণে এই রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধিকে আতঙ্কজনক বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন গবেষকরা।

এটি জন্মগত ভ্রূণ অবস্থায় থাকাকালীন মায়ের থেকেও ছড়াতে পারে। এই রোগের প্রথম স্টেজে, হাতের তালুতে ফুসকুড়ি দেখা যায়। এরপর স্টেজ যত বাড়তে থাকে তত ফুসকুড়ি ছড়াতে পারে। এবং সর্বশেষ স্টেজে অন্ধত্ব ও হৃদপিণ্ডে জ্বালা শুরু হয়। যকৃত বা লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় এবং স্নায়ুকোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে, শরীরের কিছু অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতে পারে। এমনকী মস্তিষ্কেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। প্রথম দুই স্টেজে ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে তা ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু তৃতীয় বা চতুর্থ স্টেজে ধরা পড়লে এই রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। একমাত্র সচেতনতাই সিফিলিস থেকে পরিত্রাণের উপায়।

 

ছবি: সংগৃহীত 

You can share this post!

Leave Comments