নীলাঞ্জন রায়চৌধুরী: সম্প্রতি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে হুঁকোয় টান দিতে দেখে তার ফ্যানেদের পিলে চমকে গেছে। এক পার্টিতে নাকি প্রাক্তন ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেনকে হুক্কা সেবন করতে দেখা গেছে যা নেটমাধ্যমে এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই ঘটনায় তার ফ্যানেদের একাংশ ক্ষুব্ধ! ভারতের ইউথ আইকনের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে, তিনিই যদি দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় ভুগে ধূমপান করেন তাহলে দেশের যুবা কি শিখবে।তাছাড়া মাহী দেশের খুদে ক্রিকেটারদের কাছেও অনুপ্রেরণা! তিনিই যদি তামাক সেবনে উৎসাহ দেন,ভারতীয় ক্রিকেটের উত্তরসুরিরা তাতে আদৰ্শগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতেই পারে! অপরদিকে তাঁর সমর্থকরা বলছেন এসব ফালতু কথা! তার একটা নিজস্ব জীবন আছে, সেই পরিসরে তিনি যা করতে চান সেটাই করবেন। এটা তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার আওতায় পড়ে। বরং তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে কোন্ অধিকারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন করেন অনেকে।
ধূমপান যদিও খেলোয়াড়দের কাছে নতুন কিছু নয়। আজকের ভারতীয় টিমের খেলোয়াড়দের মধ্যে রবীন্দ্র জাদেজা, হার্দিক পান্ডিয়াকে বিভিন্ন পার্টিতে ধূমপান করতে দেখা গেছে। বিরাট কোহলি সরাসরি খবরে বলেছিলেন তিনি কিভাবে ফিটনেস বাড়ানোর জন্য ধূমপান ছাড়েন। প্রাক্তন খেলোয়াড়দের অনেকেই তাঁদের কেরিয়ারের শুরুর দিকে ধূমপান করতেন। এঁদের মধ্যে পড়েন,জাহির খান, যুবরাজ সিং, বীরেন্দ্র সহবাগ, গৌতম গম্ভীর, রাহুল দ্রাবিড়। এমনকি একশো সেঞ্চুরির মালিক স্বয়ং শচীন টেন্ডুলকার অব্দি প্রথম জীবনে মাঝে মধ্যে ধূমপান করতেন, পরে এই অভ্যেস ত্যাগ করেছেন। ষাট, সত্তর দশকের খেলোয়াড়দের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা আজকের তুলনায় অনেকই বেশি ছিল। এমনকি কিঞ্চিৎ সুরাপানও চলত। শোনা যায় টাইগার পাতৌদি পরের দিকে চেন স্মোকার হয়ে উঠেছিলেন। সাধারণত ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। যেমন ক্রিস গেইল বা প্রয়াত শেন ওয়ার্ন, এঁদের পার্টি করার অভ্যেস সবারই জানা।রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টসের খেলোয়াড় জর্জ বেইলি ধোনির হুক্কার প্রতি ভালোলাগার সাক্ষ্য দিয়েছেন, তিনি বলেছেন "হুঁকো ওর পছন্দ। এবং সেটা গোপনও করে না "
ছবি : সংগৃহীত
Leave Comments