ইস্টবেঙ্গলের স্বপ্নের সওদাগর হয়ে এসেছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর প্রথম মরসুম দুর্দান্ত কেটেছে। ডুরান্ড কাপ রানার্স। কলিঙ্গ সুপার কাপ জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। শুধু তাই নয়, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে ইস্টবেঙ্গলের সেরা পারফরম্যান্স ছিল গত মরসুমেই। নতুন মরসুমে আরও কিছু টপক্লাস প্লেয়ার সই করানো হয়েছে। কিন্তু কার্লেস যেন টিমটাই গুছিয়ে উঠতে পারেননি। কাদের শুরু থেকে খেলাবেন, কারা বেঞ্চে থাকবেন, এই সিদ্ধান্ত নিতে আর কত ম্যাচ সময় লাগবে, তিনিই জানেন। এ মরসুম শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে গোল পেতে সময় লাগল এক ঘণ্টা। ডিফেন্সে আনোয়ার আলির অভিষেক হয়েছে অবশেষে। গোল পাওয়ার আগে অবধি সব ঠিকই লাগছিল। এরপরও শূন্য হাতেই ফিরতে হবে, এই প্রত্যাশা যেন ছিল না।
পরিবর্ত হিসেবে নামানো হয় তরুণ ফুটবলার পিভি বিষ্ণুকে। কোচের ভরসা রাখলেন। ম্যাচের ৬০ মিনিটে তাঁর গোলেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নামার কয়েক মিনিটের মধ্যেই গোল তরুণ ফুটবলার পিভি বিষ্ণুর। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারে থেকে বল কেড়ে দেন নন্দকুমার। এরপর দিমিত্রিয়সকে পাস। তাঁর সাজানো ক্রসে পা ছুঁইয়ে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন বিষ্ণু। এ বারের আইএসএলে একটা বিষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে, ম্যাচের ৮৫ মিনিটের পর একডজন গোল হয়েছে। গত কাল ঘরের মাঠে মহমেডান স্পোর্টিংও এগিয়ে থেকে ড্র করেছিল। ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে সেটাও হল না।
গোল পাওয়ার তিন মিনিটের মধ্যেই গোলহজম ইস্টবেঙ্গলের। যা অস্বস্তি বাড়ায় লাল-হলুদ শিবিরে। অনেক পরিশ্রমের পর একটি গোল এসেছিল। সেই চেষ্টা বৃথা। রাকিপকে কিছুক্ষণ ‘খেলিয়ে’ তাঁর সামনে থেকে গোল করেন নোয়া। ম্যাচের বয়স তখন ৬৩ মিনিট। গোল পেতেই গ্যালারির গর্জনও বাড়ে। ঘরের মাঠের সমর্থন বাড়তি তাগিদ জোগাবে প্রীতম কোটালদের, সেটাই স্বাভাবিক।
আক্রমণের ধার বাড়াতে অবশেষে ক্লেটন সিলভাকে নামান কার্লেস কুয়াদ্রাত। আরও বেশ কিছু পরিবর্তন করেন। তেমনই কেরালা ব্লাস্টার্সও তরতাজা প্লেয়ার নামায়। তার সুফলও মিলল দ্রুতই। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে দু-বার বল ক্লিয়ারের সুযোগ পেলেও পারেনি ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স। সেই সুযোগ নিতে ছাড়লেন না কেরালা ব্লাস্টার্সের বিদেশি প্লেয়ার পেপরা। হেলায় গোল করলেন। এক গোলে এগিয়ে থেকে ২ গোল হজম। বেঙ্গালুরু এফসির কাছে হার দিয়ে আইএসএল মরসুম শুরু হয়েছিল, দ্বিতীয় ম্যাচে এগিয়ে থেকেও হার।
Leave Comments