যুবভারতীতে প্রথম হোম ম্যাচেও এবারের আইএসএলে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়ার কাছে ৩-২ গোলে হার ইস্টবেঙ্গলের। কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল এবারের আইএসএলে টানা তিন ম্যাচে হারল। পয়েন্ট তালিকায় খাতা খুলতেই পারল না ক্লেইটন সিলভারা।
ম্যাচের নায়ক এফসি গোয়ার বোরহা হেরেরা। তাঁর নামে জয়ধ্বনি দিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। আর কার্লেসকে গো ব্যাক! তার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে হার দিয়ে এ বারের আইসএল শুরু হয়েছিল। গত ম্যাচে কোচিতে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে হার। অনেকটা সময় পেয়েও দলের ডিফেন্স গুছিয়ে উঠতে পারেননি।
বুড়োরা মাঠে খেললেন, তরুণরা রিজার্ভে বসে রইলেন। ইস্টবেঙ্গলের হারের পর এমনই কথা শোনা গেল লালহলুদ সমর্থকদের গলায়। বিষ্ণু, সায়ন, আমন, জেসিনদের যখন গোলের খোঁজে কার্লেস কুয়াদ্রাত নামালেন ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত গোয়ার দখলে। কারণ ম্যাচে জাঁকিয়ে বসেছেন বোর্হা, ম্যাকহাগরা। শেষদিকে নেমে ডেভিড একটি গোল করলেও, তাতে পয়েন্টের খাতা খুলল না লালহলুদের।
ম্যাচের দুমিনিটের মধ্যেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল এফসি গোয়া। কিন্তু দেজান দ্রাজিচের শট সেভ করে দেন দেবজিত মজুমদার। ১৩ মিনিটে গোয়ার আক্রমণ সেভ দেন দেবজিত মজুমদার, কিন্তু ফিরতি বলে দুরন্ত শটে গোল করে গোয়াকে এগিয়ে দেন বোর্হা হেরেইরা। পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোলের পর তিনি উচ্ছাস প্রকাশ করেননি। ম্য়াচের ২০ মিনিটে হিজাজি মাহেরের ভুল থেকে বল পেয়ে যায় গোয়ার ফুটবলাররা। সেখান থেকেই পাস পেয়ে গোল করে গোয়াকে ২-০ এগিয়ে দেন বোর্হা। এরপর নিম দোর্জি তামাং বক্সে ফাউল করেন মাদিহ তালালকে, পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকেই গোল করে ব্যবধান কমান তালাল।
ম্যাচে ৫৩ শতাংশ বল পজিশন ছিল ইস্টবেঙ্গলের। তবে অন টার্গেটে লালহলুদ ফুটবলাররা শট নিলেন মাত্র ৩টি। অর্থাৎ আক্রমণে যে অভাব রয়েছে, সেটাই বোঝা গেল। আবার এফসি গোয়া তিনটি গোল করায়, লালহলুদ ডিফেন্সের খারাপ অবস্থাও প্রকাশ পেল। হেক্টর য়ুসতেকেও একটু অন্য পজিশনে খেলানোয় তিনিও নিজের চেনা ফুটবল হারালেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৭০ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করলেন গত বছর কার্লেস কুয়াদ্রাত যেই ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছিলেন, সেই বোর্হা হেরেইরা। লালহলুদ ডিফেন্সকে দাঁড় করিয়ে গেলেন বোর্হা, এরপর লালহলুদ সমর্থকরাও তাঁকে হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন।
৮১ মিনিটে ক্লেইটনকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন গোয়ার কার্ল ম্যাকহিউগ। ৮৫ মিনিটে দলের হার রুখতে ওপরে উঠে গিয়ে জোরালো শট নেন আনোয়ার আলি, সেই বল গোলরক্ষক সেভ করতেই রিবাউন্ড বলে গোল করে যান লালহলুদের তরুণ স্ট্রাইকার ডেভিড। ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় গোয়ার পক্ষে ৩-২। শেষ পর্যন্ত এই স্কোরলাইনে থাকে। টানা তিন ম্যাচে এবারের আইএসএলে হারের মুখ দেখল লালহলুদ। কোচকে শুনতে হল গো ব্যাক স্লোগান। তিন পয়েন্ট নিয়ে গেল এফসি গোয়া, যাঁরা এর আগের ম্যাচে মহমেডান ডিফেন্স টপ করতে হিমশিম খেয়েছিল।
Leave Comments