বৃষ্টির কারণে কানপুর টেস্টে মাঠে সেভাবে খেলা না হলেও মাঠের বাইরে বিতর্কেক কেন্দ্রবিন্দুতে অন্য একজন। তিনি টাইগার রবি। বাংলাদেশের সুপার ফ্যান হিসেবে পরিচিত টাইগার রবিকে নিয়ে কানপুর টেস্টের প্রথম দিন থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে ভারতীয় সমর্থকদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন রবি। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বয়ান পাল্টে ফেলেন। হাসপাতালে রবি জানান স্টেডিয়ামে তাঁর পেটের সমস্যা হয়েছিল।
টাইগার রবি বিতর্কে এবার এলো নয়া মোড়। একাধিক নতুন তথ্য উঠে আসছে তাঁকে ঘিরে। বাংলাদেশের খেলা থাকলেই তাঁকে মাঠে দেখা যায়। প্রিয় দলকে সমর্থন করার জন্য দেশের বিভিন্ন মাঠে এমনকি বিদেশেও তাঁকে দেখা যায়। কিন্তু কানপুরের ঘটনা ঘটার পরই তাঁকে ঘিরে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে।
এই ঘটনার পর স্টেডিয়ামের ঐ অংশের সিভিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনেছে কানপুরের পুলিশ। সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে স্টেডিয়ামের মধ্যে চলাফেরা করার সময়ই পেটে হাত দিয়ে বসে পড়েন রবি। সেই সময় তাঁর আশে পাশে কেউ ছিলেন না। অসুস্থ রবিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন কয়েকজন। এরপর সেখানে থাকা মেডিকেল স্টাফরা রবিকে স্টেডিয়ামের বাইরে নিয়ে যান। এর থেকেই প্রমাণ হয় শারীরিক নিগ্রহের কোনও ঘটনা ঘটেনি। এমনকি শুক্রবার হাসপাতালে পেটের সমস্যার কথা স্বীকারও করে নেন রবি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা বা অহেতুক মিথ্যা কথা বললে রবিকে মাঠে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না। তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। কানপুর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় বাংলাদেশ সমর্থকের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তাঁর শরীর জলশূন্য হয়ে পড়ে। তাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে কোনওভাবেই শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করা হয়নি।
বাংলাদেশের একটি সংবাদ মাধ্যম আবার বলেছে, দৃষ্টি আর্কষণের জন্য রবি এই ধরনের কাজকর্ম করে থাকেন। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ আরও আছে মেডিকেল ভিসায় ভারতে এসে একের পর এক ম্যাচে মাঠে যাচ্ছেন রবি। চেন্নাই টেস্ট চলাকালীন ভারতীয় ক্রিকেটারদের কু কথাও শোনান। বিশেষ করে মহম্মদ সিরাজকে অকথ্য ভাষায় কথা শোনান রবি। চেন্নাইয়ে বাংলা ভাষা কেউই বুঝতে পারেননি ফলে সেখানে ধরা পড়েনি, কিন্তু কানপুকে তাঁর আশে পাশে কয়েকজন বাংলাভাষা বুঝতে পারেন তখনই বিষয়টি নিয়ে ধরা পড়ে যান।
এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে রবি বলেন, "আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম এবং পুলিশ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং আমার চিকিৎসা করায়। এখন আমি অনেক ভালো বোধ করছি।"
Leave Comments