চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের সর্বকালের সফলতম দলগুলির অন্যতম রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ। তবে একই রাতে হার দুই বড় ক্লাবের। তাও আবার এমন দুই দলের বিরুদ্ধে যারা খাতায় কলমে অন্তত এই দুই দলের থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে। চলতি মরশুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিলের বিরুদ্ধে ০-১ পরাজিত হল রিয়াল মাদ্রিদ। ওই একই স্কোরলাইনে বায়ার্নকে হারাল অ্যাস্টন ভিলা। রিয়াল মাদ্রিদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও ০-৪ গোলের বিরাট ব্যবধানে হারল বেনফিকার বিরুদ্ধে। তবে লিভারপুল, জুভেন্তাসের মতো ক্লাবগুলি নিজেদের ম্যাচে জয় পায়।
এদিন মিডল্যান্ডসে বায়ার্ন প্রথমার্ধে মাইকেল অলিজ়ের শটে প্রায় এগিয়েই গিয়েছিল। তবে দিবু মার্তিনেজ় দুরন্ত সেভে ভিলার হয়ে ক্লিনশিট অক্ষত রাখেন। ম্যাচে দুই দলই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে। বাভেরিয়ার ক্লাবের বিরুদ্ধে উনাই এমরির দলকে লিড এনে দেন জন ডুরান। এই মরশুমে ইতিমধ্যেই একাধিক ম্যাচে সুবার সাব হিসাবে নিজের গোল করার দক্ষতা দেখিয়েছেন ডুরান। এদিনও ফের একবার তেমনটাই দেখা গেল। পাও তোরেসের দূরপাল্লার পাস থেকে বল পান ডুরান। ন্যয়ারকে গোল থেকে বেশ খানিকটা দূরে দেখে বক্সের বাইরে থেকেই এক অনবদ্য শটে গোলে করেন ডুরান। তাঁর ৭৯ মিনিটের গোলই ভিলার জয় সুনিশ্চিত করে।
লিল বনাম রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচকে আবার অনেকে এমবাপে বনাম এমবাপের লড়াই হিসাবেও বিল্ড আপ করছিলেন। তবে ইথান আগেই চোটের কারণে ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। এমবাপেও এদিন বেঞ্চেই ম্যাচ শুরু করেন। তবে বেলিংহ্যামের মতো তারকারা কিন্তু ছিলেন। তা সত্ত্বেও লিলের ১৭ বছর বয়সি বৌয়াদ্দি ম্যাচের মাঝমাঠে দাপট দেখান। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে। জনাথন ডেভিড করেন গোল। ম্যাচে শেষের দিকে প্রচুর আক্রমণ করলেও গোল পায়নি লস ব্লাঙ্কোস। এই পরাজয়ের ফলে গত বারের চ্যাম্পিয়নদের ১৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার দৌড় শেষ হল।
অপরদিকে, ঘরের মাঠে বলনিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত শুরু করেও শেষমেশ বেশ লড়াই করেই তিন পয়েন্ট অর্জন করতে হয়। ম্যাচে মহম্মদ সালার অ্যাসিস্ট থেকে ১১ মিনিটে গোল করে রেডসদের এগিয়ে দেন অ্যালেক্সিস ম্যাকালিস্টার। মহম্মদ সালার অনবদ্য শটে লিভারপুলের ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। ম্যাচে আর কোনও গোল হয়নি। অ্যালিসন বেকার লিভারপুলের হয়ে একাধিক ভাল সেভ করেন। আবার বেনফিকার বিরুদ্ধে কার্যত দাঁড়াতেই পারেনি অ্যাটলেটিকো। কেরেমের গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগালের দলটি। পেনাল্টি থেকে এদিন বেনফিকার হয়ে গোল করেন। ম্যাচ বেনফিকার পক্ষে ৪-০ শেষ হয়।
জুভেন্তাসের জয়টা আরও চমকপ্রদ ছিল, কারণ ওল্ড লেডি মাত্র ১০ জনে খেললেও, জয় পায়। বেঞ্জামিন সেস্কোর জোড়া গোলে আর লাইপজিং দুই দুইবার ম্যাচে এগিয়ে যায়। তবে ভ্লাহোভিচ জুভেন্তাসের হয়ে প্রথমবার সমতা ফেরান। জুভের গোলরক্ষককে লাল কার্ড দেখানো হলেও, ভ্লাচোভিচই দ্বিতীয় গোলটি করেন। ম্যাচের ৮২ মিনিটে দলের নতুন খেলোয়াড় ফ্রান্সিস কন্সেসাওয়ের গোলে জুভে লিড ও তিন পয়েন্ট সুনিশ্চিত করে।
উয়েফা চ্য়াম্পিয়ন্স লিগের লিগ পর্বের পয়েন্ট তালিকায় আপাতত শীর্ষে রয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। দ্বিতীয় ব্রেস্ট ও তৃতীয় বেনফিকা।
Leave Comments