বসুন্ধরা কিংসের কাছে আটকে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। পদ্মাপাড় থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেদের। লিস্টন কোলাসোর গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা করতে পারল না তারা‚ যার ফলে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া নিয়েও চাপে থাকবে সবুজ-মেরুণ। শেষ বাঁশি বাজার পর ঘরের মাঠে শেষ হাসি হাসলেন রবিনহো‚ মিগুয়েলরা।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে উভয় দলই।সুযোগ তৈরি হলেও তা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারছিলেন না হুগো বুমো‚ মনবীর ‚ সাহালরা। ১৭ মিনিটে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন লিস্টন কোলাসো। সুযোগটা তৈরি করেছিলেন অষ্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেসন কামিংস। গোল বাঁচাতে বিপক্ষ কিপার এগিয়ে এলে ঠাণ্ডা মাথায় জালে বল জড়িয়ে দেন লিস্টন। গোল খেয়েই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে দেয় বসুন্ধরা। ম্যাচের বয়স যখন ৪৪ মিনিট তখন দিদিয়ের ব্রোসোর পাস থেকে বাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথকে কাটিয়ে সমতা ফেরান ফিগুয়েরা।
দ্বিতীয়ার্ধ পুরোপুরি চলে যায় বসুন্ধরার দখলে। বিরতির পর ছন্দপতন ঘটে মোহনবাগানের। হাতেগোনা সুযোগ মাত্র। সেখানে দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে অস্কার ব্রুজনের দল। ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। বেঞ্চে থাকলেও দিমিত্রি পেত্রাতোস নামেন নি মাঠে। চোট কি না তা জানা যায়নি। গোলের সুযোগ তৈরি হলেও তা বারে বারে নষ্ট করতে থাকে বাগান খেলোয়াড়রা। তুলনামূলকভাবে পজেশানে এগিয়েছিল বসুন্ধরা। ম্যাচের ৮০ মিনিটে নাসিমেন্টোর পাস থেকে নিখুঁত প্লেসিংয়ে জয়সূচক গোল রবসন ডি সিলভার, যিনি রবিনহো নামে পরিচিত। দ্বিতীয় গোল হজম করার পর আর সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ফেরান্দোর ছেলেরা। অ্যাওয়ে ম্যাচে হারার ফলেই চাপে পরে গেল মোহনবাগান। ঘরের মাঠে জেতার ফলে মোহনবাগানের সঙ্গে হেড টু হেডে এগিয়ে থাকার জন্য পয়েন্ট টেবিলে প্রথমে উঠে এল বাংলাদেশের এই দল। অন্যদিকে এফসি কাপের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঝিয়াকে হারাল ওড়িশা। প্রথমে দুই গোল খেয়ে পিছিয়ে গেলেও‚ দুরন্ত কামব্যাক করে ৩-২ গোলে জিতে যায় লোবেরার ছেলেরা।
Leave Comments