শীর্ষ টাইমস ডেস্ক : বলিউডের রঙিন জগতের মোহ মায়ায় আকৃষ্ট হই আমরা অনেকেই। এই জগতের একদম সামনের সামনের সারিতে যাঁরা রয়েছেন সেইসব নায়ক নায়িকা,গায়ক, গায়িকা,ফিল্মমেকার , স্টার,সুপারস্টারদের দেখে আমাদের মনে হয় জগতের সবচেয়ে সুখী মানুষ বোধহয় এঁরাই। কিন্ত দুঃখ, শোক, বিচ্ছেদ বেদনা ছাড়ে না কোনও মানুষকেই। আজ শীর্ষ টাইমস এমন কিছু স্টারদের কথা বলবে যাঁদেরকে নিজেদের সন্তান হারানোর মত ভয়ঙ্কর ব্যাথা সহ্য করতে হয়েছে নিয়তির বিচারে।
শেখর সুমন : বলিউডের ফ্ল্যামবয়েন্ট এক্টর লিস্টে একজনের নাম অবশ্যই থাকবে, তিনি শেখর সুমন। আমরা সবাই তাঁকে এবং তাঁর ছেলে অধ্যয়ন সুমনকে চিনি। তিনিও অভিনেতা। কিন্ত অনেকেই জানেন না তাঁর এর আগেও একটি ছেলে হয়েছিল। সেই ছেলের নাম স্বামী স্ত্রী রেখেছিলেন আয়ুষ নামে। মাত্র ১১ বছর বয়সে মারা যায় সে। রেখে যায় এক অপরিসীম শূন্যতা। এতটাই ভেঙে পড়েন এই দম্পতি যে সেইসময় আত্মহত্যার কথাও ভেবেছেন বহুবার!
কবীর বেদি : অত্যন্ত সুপুরুষ কবির বেদীর জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছিল যখন তাঁর তরুণ পুত্র সিদ্ধার্থ আত্মহত্যা করে ক্যালিফর্নিয়ায় পড়তে গিয়ে। ডিপ্রেশনের কবলে পড়ে সিদ্ধার্থ। ওষুধ খেতে থাকে অপরিমিত।
আশা ভোসলে : আশা ভোসলে সন্তানের মৃত্যু বেদনা সহ্য করেছেন ২ বার। তাঁর তিন সন্তানের মধ্যে সবথেকে বড় ছিলেন তাঁর মেয়ে বর্ষা।৫৬ বছর বয়সে নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
ছবি : সংগৃহীত।
জগজিৎ সিং-চিত্রা সিং: একমাত্র ছেলের মৃত্যু দুর্ঘটনায়। মাত্র ২০ বছর বয়সে। আর একমাত্র মেয়েটিও চলে গেল ২০০৯ সালে। এই গুণী দম্পতি কি পরিমাণ মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করেছেন তা ভাবলে শিউরে উঠতে হয়।
প্রকাশ রাজ : প্রকাশ রাজ কে শুধু সাউথ ইন্ডিয়া নয়, পছন্দ করে প্যান ইন্ডিয়ার দর্শক। কিন্ত এই এক্টরকেও সহ্য করতে হয়েছে তাঁর বাচ্চা মেয়েটিকে হারানোর যন্ত্রণা। ঘুড়ি ওড়াতে ওড়াতে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় বাচ্চাটির।
মেহমুদ : সবাইকে হাসিয়ে এসেছেন পর্দায়।কমেডি কিং মেহমুদের ব্যক্তিগত জীবন তাঁকে হাসাতে পারে নি। পুত্র ম্যাকি বলিউডে তখন সবে সবে উদিত হচ্ছে। কিন্ত হটাৎ কার্ডিয়াক এরেস্ট এবং মৃত্যু। এই মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছিলেন মেহমুদ সাহাব।
মৌসুমী চ্যাটার্জি : বাংলার 'বালিকা বধূ' মৌসুমী চ্যাটার্জির বড় মেয়ে ৩১ বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে মারা যান।
Leave Comments