• India
  • Last Update 11.30 am
  • 29℃ Kolkata, India
news-details
Travel

সুন্দরবনে তো সবাই যায় , কিন্তু আশেপাশের এই অফবিটগুলোকে চেনেন কজন?

ad

শীর্ষ টাইমস ডেস্ক: শীত পড়তেই ঘুরতে যাওয়া হুজুগে মজেছে বাঙালি। বাড়ির কাছে চিড়িয়াখানা, নিক্কোপার্ক তো অনেক হল। এখন সপ্তাহশেষে ছুটি কাটাতে পরিচিত গণ্ডির একটু বাইরে বেরোতে চাইছে কলকাতার মানুষ। পছন্দের জায়গার মধ্যে অনেকের তালিকাতে রয়েছে ঘরের কাছে সুন্দরবন, ফ্রেজারগঞ্জ বা হেনরি আইল্যান্ডের মতো জায়গা। কিন্তু এবার যদি একটু অন্যরকম জায়গায় ঘুরতে যাওয়া যায়? যাতায়াতে সময়টা একই লাগবে। কিন্তু জায়গাটা হবে নিরিবিলি। ভিড় থেকে অনেক দূরে। আসুন জেনে নিই সুন্দরবনের তেমনই কিছু অফবিট, যেখানে মানুষ খুব কম যায়।


কলস দ্বীপ ও বনি ক্যাম্প

সুন্দরবনের একটি অফবিট ভ্রমণ স্থল হলো 'বনিক্যাম্প' । সুন্দরবন ও তার প্রকৃতির অপূর্ব এক মেল বন্ধন হল বনিক্যাম্প ও কলস দ্বীপ ভ্রমণ। এখানকার প্রধান আকর্ষণ হলো, প্রকৃতি,জীবজগত ও আপনাদের নিয়ে মানব জগতের এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধন  প্রকৃতির সাথে প্রকৃতির কাছে জীবনের দুটো দিন যা মনে রাখার এক ভ্রমণ হতে পারে !পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে রয়েছে প্রকৃতির অপার সম্ভার সুন্দর বন। সমুদ্রের তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে এই অপূর্ব বাদাবন। এখানে রয়েছে যেমন প্রচুর গাছপালা, কেওড়া ও সুন্দরী গাছের বন, তেমনি রয়েছে নানা প্রাণী, জীবজন্তু। বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ ও বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য। এই দ্বীপে যেতে গেলে আপনাকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা থেকে ক্যানিং লোকালে উঠে আপনাকে ক্যানিং স্টেশনে নামতে হবে৷ ওখান থেকে যে কোনও গাড়ি করে ঝড়খালি আর ঝড়খালি থেকে লঞ্চ বা নৌকায় পেঁছোনো যায় কলসদ্বীপে।  আরে কী ভাবে থাকবেন বনবিভাগের ক্যাম্প-এ থাকতে পারেন। বুকিংয়ে জন্য যোগাযোগ করতে হবে দঃ ২৪ পরগনা বনবিভাগ সঙ্গে।

লোথিয়ান দ্বীপ

১৯৪৮ সালে এই বনাঞ্চলটি প্রথম অভয়ারণ্য হিসেবে বিজ্ঞাপিত হয় এবং ১৯৭৬ সালে তা পুনরায় ঘোষিত হয়। এই অভয়ারণ্যটি সুন্দরবন ব-দ্বীপের অংশবিশেষ। অসম্ভব সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের সাক্ষী হতে অবশ্যই যান লোথিয়ান দ্বীপে।

ফ্রেজারগঞ্জ ও বকখালি

ফ্রেজারগঞ্জের মূল আকর্ষণ হল সাত কিলোমিটার বিস্তৃত রুপোলি সৈকত। এখান থেকে গঙ্গাবক্ষে সূর্যাস্ত বা সুর্যোদয়ের সৌন্দর্য দেখার মজাটাই। ইতি-উতি ঘুরে বেড়াচ্ছে লাল কাঁকড়া। পরিযায়ী পাখি দেখার আদর্শ স্থান এই ফ্রেজারগঞ্জ। সামুদ্রিক ঈগল থেকে কালচে মাথার মাছরাঙা, নানা ধরনের রঙ-বেরঙের পাখি ভিড়। এছাড়াও সৈকতে বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ঘুরে আসতে পারেন বনবিবির মন্দিরে। ফ্রেজারগঞ্জের অদূরেই বকখালি। সমুদ্র সৈকতে কাটিয়ে আসতে পারেন বেশ খানিকক্ষণ। জম্বুদ্বীপ আর হেনরি আইল্যান্ডও খুব একটা দূরে নয়। কলকাতা থেকে বকখালি যাওয়ার প্রচুর বাস রয়েছে। বকখালি থেকে ফ্রেজারগঞ্জ খুব কাছেই। শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে নামখানা নেমে নৌকায় নদী পার হয়ে বাসেও যাওয়া যায় বকখালি।  সেখান থেকে ফ্রেজারগঞ্জ। থাকার জন্য ছোটো বড়ো অনেক হোটেল রয়েছে।

হেনরি আইল্যান্ড

বকখালি থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের উপকূলের শোভা বর্ধনকারী স্থানে পাওয়া যায় নিরিবিলি পরিবেশ ও  শান্তি। ফ্রেজারগঞ্জ বকখালিতে গেলে হেনরি দ্বীপে যাওয়াটা কিন্তু কোনও ব্যাপারই নয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে হেনরি আইল্যান্ডে বেশ কয়েকটি সুন্দর রিসর্ট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। দ্বীপে রয়েছে বেশ কয়েকটি হোটেলও। অনেকে আবার বকখালিকে বেস পয়েন্ট বানিয়ে একদিনের জন্য ঘুরে আসেন সুন্দর ম্যানগ্রোভের দ্বীপ।

মৌসুনি দ্বীপ

মৌসুনি দ্বীপ এর পশ্চিমবঙ্গ দক্ষিণ দিকে অবস্থিত, বকখালির কাছাকাছি। তিনদিকে বঙ্গোপসাগর এবং একদিকে একটি নদী চলে গেছে এবং একটি দ্বীপের আকার দিয়েছে। সেখানে পৌঁছাতে গেলে আপনাকে আপনার গাড়িটি আগেই পার্ক করতে হবে এবং নদীটি নৌকার দ্বারা পেরোতে হবে কারণ দ্বীপের মধ্যে গাড়ি ঢোকানোর কিন্তু অনুমতি নেই। বকখালি থেকে বেশি দূরে না এই দ্বীপ। এখানে গেলে আপনি থাকতে পারেন কটেজে, আবার চাইলে থাকতে পারেন টেন্ট বা তাবুতেও। তবে তাবুতে থাকাটা  একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা হবে মৌসুনিতে গেলে।

ছবি: সংগৃহীত

You can share this post!

Leave Comments