শীর্ষ টাইমস ডেস্ক: ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে অনুষ্ঠিত হলো ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের স্বর্ণযুগের ফুটবল সচিব অজয় শ্রীমানী, কিংবদন্তি খেলোয়াড় মহম্মদ হাবিব ও ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবল সচিব সুপ্রকাশ গড়গড়ির স্মরণসভা। প্রথমেই ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার, স্মৃতিচারণায় এই তিন শ্রদ্ধেয় মানুষের ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত নানান ঘটনার কথা ব্যক্ত করেন। এর পরে এক এক করে তিনজনের কিছু ছবি ও ভিডিও সকলের সামনে উপস্থাপিত করা হয়। অজয় শ্রীমানী, মহম্মদ হাবিব ও সুপ্রকাশ গড়গড়ির প্রতিকৃতিতে ফুল ও মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্মরণসভায় উপস্থিত ক্লাবের প্রাক্তন খেলোয়াড়েরা, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শ্যাম থাপা, সমরেশ চৌধুরী, তরুণ বসু, প্রশান্ত ব্যানার্জি, কৃষ্ণেন্দু রায়, ভাস্কর গাঙ্গুলি, তরুণ দে, সুমিত মুখার্জি, বিকাশ পাঁজি, গৌতম ঘোষ, বিজন চক্রবর্তী, মাধব দাস প্রমুখ। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রয়াত অজয় শ্রীমানীর দুই পুত্র প্রবীর শ্রীমানী ও সুবীর শ্রীমানী এবং ক্লাবের কর্মকর্তাগণ। প্রাক্তন খেলোয়াড়দের স্মৃতিচারণার মধ্যে দিয়ে তিনজনের নানা অজানা ঘটনার কথা উঠে আসে। ক্লাবের কর্মসমিতির সদস্য দেবব্রত সরকার দীর্ঘদিন এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এই দীর্ঘ সময়ে অজয় শ্রীমানী, মহম্মদ হাবিব ও সুপ্রকাশ গড়গড়ির সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক ছিল। সেই সমস্ত ঘটনার কথা উঠে আসে তাঁর স্মৃতিচারণার মধ্যে দিয়ে। সুপ্রকাশ গড়গড়ির স্ত্রী শুভ্রা গড়গড়ি যেহেতু বাইরে থাকেন, তিনি তাঁর অভিব্যক্তির কথা লিখে পাঠান ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কাছে। তাঁর সেই লেখাটি সকলের সামনে পাঠ করেন সভার পরিচালক প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার জয়ন্ত চক্রবর্তী। মহম্মদ হাবিব প্রয়াত হওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে তাঁর হায়দ্রাবাদের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল ক্লাবের প্রতিনিধি। সেখানে বড়ে মিয়াঁর কন্যা ক্লাবের কাছে তাঁর বক্তব্য একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রেরণ করেন। অনুষ্ঠানে সেটি সকলের সামনে তুলে ধরা হয়। অজয় শ্রীমানীর ছোট ছেলে সুবীর শ্রীমানী তাঁর বাবার নানা কথা স্মৃতিচারণ করেন। এই স্মরণসভায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব অজয় শ্রীমানীর দুই পুত্রের হাতে ক্লাবের আজীবন সদস্য কার্ড তুলে দেয়।
Leave Comments