শীর্ষ টাইমস ডেস্ক: কলকাতা লিগে রীতিমতো 'অশ্বমেধের ঘোড়া' ছুটিয়েছে মহামেডান স্পোর্টিং। যার ফলেই টানা তৃতীয়বারের জন্য লিগ জয়। শুক্রবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টসকে হারিয়েই লিগ নিজেদের কাছেই রেখে দিল আন্দ্রে চেরনিসভের ছেলেরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বজায় রেখে খেলতে শুরু করে মহামেডান স্পোর্টিং‚ তার ফলও পেয়ে যায় মাত্র ১২ মিনিটে। কর্ণার হেড করে গোলের খাতায় নাম লেখান রেমসাঙ্গা। গোল খাওয়ার পরে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিলেন দীপক টাংরি‚ সুহেল ভাটরা। কিন্তু তা বোধহয় পর্যাপ্ত ছিল না। একেরপর এক সুযোগ নষ্ট ছাড়াও রক্ষণভাগের দুর্বলতা ফুটে উঠছিল বারেবারেই। ৩৭ মিনিটে সবুজ-মেরুণের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন মহামেডানের ডেভিড। চলতি লিগে তাঁর হয়ে গেল ২১ গোল। ঘরোয়া লিগ জন্ম দেয় নতুন তারকার। এইবার কলকাতা ময়দান পেল গোলমেশিন ডেভিডকে। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই করতে পারেনি কোনও গোল। তাই জয় ও ট্রফি নিয়েই মাঠ ছাড়ে মহামেডান। কলকাতা লিগ জয়ের ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলের যে ক্ষীণ আশা ছিল তা বিলীন হয়ে গেল। লিগের অন্য ম্যাচগুলো হয়ে গেল এখন নিয়মরক্ষার। মহামেডান চাম্পিয়ন হলেও ইস্টবেঙ্গল না ডায়মন্ড হারবার রানার্স হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
শেষবার যখন মহামেডান লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিল তখনও উদিত হয়নি স্বাধীনতার সূর্য ভারতের আকাশে। ১৯৩৪‚ ৩৫‚ ৩৬ ‚ ৩৭‚ ৩৮ টানা পাঁচবার লিগ জিতেছিল তারা। তারপর প্রায় এক শতাব্দী পর ফিনিক্স পাখির মতো ফিরে কলকাতার অন্য দুই বড়ো ক্লাবকে হারিয়েই জয় কলকাতা লিগের। ঘরোয়া লিগ জয়ের পর উচ্ছসিত ক্লাব কর্তারা। ফুটবলারদের ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে বলে জানান ইসতিয়াক আহমেদ। লিগ জয়ের দিনেই ছিল মহামেডান তথা তিন প্রধানে দাপিয়ে খেলা দীপেন্দু বিশ্বাসের জন্মদিন। মোহনবাগানকে হারানোর পরই গ্রান্ড সেলিব্রেশন হিসেবে কাটা হয় কেক।
Leave Comments