বিশ্বরূপ ঘোষ: ২০০৩‚ ২০০৭‚ ২০১১‚ ২০১৫‚ ২০১৯। এগুলি নিছকই শুধু সাল নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটবুক- এ বহন করে এক তাৎপর্যপূর্ণ অর্থ। ক্রিকেট বিশ্বকাপের মঞ্চে এই বছরগুলোতে একবারও নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বাভুমাদের বিপক্ষে বোধহয় তাই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। তার ফল ভুগতে হল কিউয়িদের। মিলারদের কাছে হেরে চিড়েচ্যাপ্টা হতে হল ব্ল্যাক ক্যাপসদের।
টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম। চলতি বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে আছেন কুইন্টন ডি-কক্। তিনি মনে করাচ্ছেন ২০১১ বিশ্বকাপের শ্রীলঙ্কার সাঙ্গাকারাকে। বাঁ-হাতি ব্যাটার‚ উইকেটকিপার‚ বিশ্বকাপের পর ওডিআই থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত সেই একই কম্বিনেশন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয় প্রোটিয়া বাহিনীর। ৩৮ রানের মাথায় আউট হন অধিনায়ক বাভূমা। এরপর ক্রিজে আসেন ডুসেন। এবং বাকিটা হয়ে গেল ইতিহাস। কুইন্টন ও ডুসেন দুজনে মিলে খেললেন শতরানের ইনিংস। চলতি বিশ্বকাপে এই নিয়ে চারটি সেঞ্চুরি হয়ে গেল ডি-ককের। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপে কোনভাবেই দাগ কাটতে পারেন নি নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। তিনি যখন আউট হলেন স্কোরবোর্ডে তখন ২৩৮/২। দশটি চার ও তিনটি ছক্কার বিনিময়ে ১১৪ রান করেন। ডি-কক্ আউট হলে আসেন মিলার।এরপর মিলার ও ডুসেন চালিয়ে খেলতে থাকেন। ৫০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ওঠে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৫৭।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চলল আসা যাওয়ার খেলা। ধারাবাহিকভাবে উইকেট পড়তে থাকে কিউয়িদের। ব্যাটিং এর মত বোলিং বিভাগেও কার্যকরী ভূমিকা রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা। কেশব মহারাজ ও জানসেনরা রীতিমতো ছেলেখেলা করলেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে একমাত্র রান পেলেন ফিলিপস। শেষের দিকে তিনি সাত রানের একটি ইনিংস খেলল কাজে আসল না ব্ল্যাক ক্যাপসদের।
Leave Comments